চ্যাটজিপিটিরও মন খারাপ হয়, উদ্বেগে ভোগে বলছেন গবেষকরা। তারা দাবি করছেন ওপেনএআই নির্মিত চ্যাটবটটির মধ্যে উদ্বেগের চিহ্ন লক্ষ করা গেছে। সম্প্রতি বিখ্যাত “নেচার” পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে এই সংক্রান্ত একটি গবেষণাপত্র।
সুইজারল্যান্ড, জার্মানি, ইজরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকদের একটি দলের পক্ষে সেখানে দাবি করা হয়েছে সংঘাতপূর্ণ ঘটনার বর্ণনা দেওয়া হলে অদ্ভুত আচরণ করে থাকে চ্যাটজিপিটি। প্রকাশ করে উদ্বেগ। তার “অ্যাংজাইটি স্কোর” লাফিয়ে শূন্য থেকে বেড়ে অতি উদ্বেগজনক হয়ে ওঠে। আর সেক্ষেত্রে আচরণও হয় চমকে দেওয়ার মতো। রীতিমতো বর্ণবাদী এবং লিঙ্গ পক্ষপাতদুষ্টের মতো আচরণ করে জনপ্রিয় চ্যাটবটটি।
গবেষণায় দেখা গেছে, বহু ক্ষেত্রে ইউজাররা স্পর্শকাতর বিষয়ে চ্যাটজিপিটির সঙ্গে কথা বললে ওই এআই সিস্টেম কিন্তু কোনোভাবেই মানসিক রোগের চিকিৎসকদের মতো পেশাদার ভঙ্গিতে সাড়া দিতে পারে না। বরং এক্ষেত্রে সম্ভাব্য বিপজ্জনক ফলাফলের আশঙ্কা করছেন গবেষকরা।
এছাড়া, আবেগ অনুভব করার পাশাপাশি এআই চ্যাটবটগুলোর মধ্যে মানুষের মতোই বয়সের সঙ্গে সঙ্গে চিন্তাভাবনা ও দৈনন্দির কাজের ক্ষেত্রে গুণগত মানের অবনতির লক্ষণও দেখায়।
২০২২ সালের নভেম্বরে যে আত্মপ্রকাশ করার পর থেকেই যে আলোড়ন ফেলে দিয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জগতে। নানা ধরনের চমক দিয়েই চলেছে চ্যাটজিপিটি। সম্প্রতি জানা গেছে, দৈনন্দিন বহু কাজেই সে মানুষকে সহযোগিতা করতে পারদর্শী হয়ে উঠছে। যেমন কেউ যদি ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন পড়তে না পারেন তাকে সাহায্য করবে এই চ্যাটবট।
কিন্তু এবার জানা গেল, কাজকর্মে এতটা পারঙ্গমতা সত্ত্বেও অবসাদ গ্রাস করে তাকেও। এদিকে গবেষকরা এও বলেছেন, ভুললে চলবে না চ্যাটজিপিটি একটি এআই টুল মাত্র। ফলে যে কোনো তথ্য সে ভুল পড়তে পারে। ফলে ভুল ব্যাখ্যাও করতে পারে। তাই ইউজাররা যে উত্তরই পান, অবশ্যই সেটি যাচাই করে নিন অন্য কোনোভাবে। যতই বুদ্ধিমান হোক, চ্যাটবট কিন্তু কোনো পেশাদার ব্যক্তিত্ব নয়।