আসন্ন ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে তৈরি পোশাক, নিটওয়্যার এবং অন্যান্য খাতসহ প্রায় ৩০০ কারখানায় শ্রমিকদের ছুটি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কাজের প্রচণ্ড চাপ থাকায় এ বছর ৭৯টি কারখানায় ঈদের ছুটি হচ্ছে না। তবে শ্রমিকরা এই ঈদের ছুটি পরবর্তী সময়ে ভোগ করতে পারবেন।
বাংলাদেশ শিল্পাঞ্চল পুলিশের তথ্যমতে, দেশে মোট ৯ হাজার ৬১৬টি কলকারখানা রয়েছে। এসব কারখানায় প্রায় ৪০ লাখ শ্রমিক কাজ করেন। মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) পর্যন্ত বিজিএমইএ এবং বিকেএমইয়ের সদস্যভুক্ত কারখানাসহ মোট ২৮১টি কলকারখানায় শ্রমিকদের ঈদের ছুটি দেওয়া হয়েছে।
ব্যবসায়ী ও নেতারা জানান, বুধ ও বৃহস্পতিবার আরও বেশ কিছু কারখানায় ঈদের ছুটি দেওয়া হবে। আর শুক্রবার থেকে বাকি সব কল-কারখানায় ছুটি দেওয়া হবে।
ধাপে ধাপে ছুটির প্রসঙ্গে ব্যবসায়ী ও নেতারা বলেন, “একসঙ্গে সব কল-কারখানায় ছুটি হলে বাড়ি ফেরা নিয়ে শ্রমিকদের ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়। তাই কারখানার মালিকদের অনুরোধ করা হয়েছে ধাপে ধাপে, আগে-পরে করে ছুটি দিয়ে দেওয়ার জন্য। কারখানা মালিকরাও সেই নির্দেশনা অনুসারে বেতন-বোনাস দিয়ে শ্রমিকদের ঈদের ছুটি ঘোষণা করছেন।
দেশের ৮টি শিল্পাঞ্চলের মধ্যে এক নম্বর অঞ্চল আশুলিয়ায় ১,৭৯২টি কারখানার মধ্যে ৬৪টি কারখানায় ঈদের ছুটি দেওয়া হয়েছে। দুই নম্বর অঞ্চল গাজীপুরের মধ্যে ২,৩৩৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩৩টি কারখানায় ঈদের ছুটি দেওয়া হয়েছে।
একইভাবে তিন নম্বর অঞ্চল চট্টগ্রামের ১,৪৮০টি কারখানার মধ্যে ১৬৩টি কারখানায় ঈদের ছুটি দেওয়া হয়েছে। চার নম্বর অঞ্চল নারায়ণগঞ্জের ২,২০৭টি কারখানার মধ্যে ১৮টি কারখানায় এবং খুলনায় অঞ্চলে ৩টি কারখানায় ঈদের ছুটি দেওয়া হয়েছে।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, “আমরা বিজিএমইয়ের সদস্যভুক্ত কারখানা মালিকদের বলেছি ধাপে ধাপে ছুটি দিতে, যেন শ্রমিক ভাই-বোনদের যাতায়াতের ভোগান্তি কম হয়। তাই তারাও সেভাবে ছুটি দিচ্ছে।”
নিটওয়্যার মালিকদের প্রতিষ্ঠান বিকেএমইয়ের নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, “শ্রমিকরা যেন সুন্দরভাবে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারেন, সে জন্য এবার ধাপে ধাপে ঈদের ছুটি দেওয়া হচ্ছে কারখানাগুলোতে। তবে বৃহস্পতিবার থেকে অধিকাংশ কারখানায় ঈদের ছুটি থাকবে।”