প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে “অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্রের” অভিযোগে দায়ের করা মামলায় শফিক রেহমান ও মাহমুদুর রহমানসহ পাঁচজনকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূর এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
একইসঙ্গে তাদের পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
দণ্ডিত অপর তিন আসামি হলেন- জাতীয়তাবাদী সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, তার ছেলে রিজভী আহাম্মেদ ওরফে সিজার এবং যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া।
রায়ের সময় আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে সাজাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
২০১৫ সালের ৩ অগাস্ট গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৩০৭ ও ১২০ (বি) ধারায় ঢাকার পল্টন থানায় এই মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় ২০২২ সালের ১৩ নভেম্বর সজীব ওয়াজেদ জয় আদালতে সাক্ষ্য দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মো. আবদুর রহমান খান কাজল সাংবাদিকদের বলেন, “অপহরণের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে দণ্ডবিধির ৩৬৫ ধারায় আসামিদের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দিয়েছেন বিচারক। জরিমানার টাকা অনাদায়ে তাদের আরও এক মাসের কারাভোগ করতে হবে। একই আইনের ১২০-খ ধারায় অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের দায়ে আসামিদের দুই বছরের কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।”
আসামিদের দুই ধারার সাজা একসঙ্গে চলবে বলে রায় দিয়েছেন আদালত। ফলে তাদের সব মিলিয়ে পাঁচ বছরের সাজা খাটতে হবে।