সন্তান ধারণ যেকোনো দম্পতিদের জন্য পরম আকাঙ্ক্ষিত বিষয়। আর সেই সন্তান যদি যমজ হয়; তাহলে তো আনন্দের সীমা দ্বিগুণ হয়ে যায়।
যমজ সন্তান নিয়ে মানুষের মধ্যে আগ্রহ বরাবরই বেশি। আর গবেষণা বলছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যমজ শিশু জন্মগ্রহণের হার তুলনামূলক বেড়েছে। তাই, যমজ সন্তান হওয়ার কারণ জানতে আগ্রহও যেন বেশি বেড়েছে। চলুন, জেনে নেওয়া যাক কাদের যমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি সে সম্পর্কে-
পরিবারে যমজ থাকলে, পরবর্তী সময়ে ওই পরিবারের অন্য সদস্যদের যমজ সন্তান হতে পারে। অনেক নারীর শরীরে দুই বা তার বেশি সংখ্যক ডিম্বাণু উৎপাদন হয়। একে বলে হাইপার ওভিউলেশন। এই প্রবণতা মেয়েদের মধ্যে মায়ের ডিএনএ থেকে আসতে পারে। এমন ক্ষেত্রে যমজ সন্তান জন্মানোর সম্ভাবনা থাকে।
বেশি বয়সে সন্তানধারণ করলে যমজ সন্তান জন্মের সম্ভাবনা বাড়ে। বিশেষ করে ৩৫ বা ৪০ বছরের বেশি হলে। মেয়েরা যত রজোনিবৃত্তির (মেনোপজ) দিকে এগিয়ে যান, ততই তাদের শরীরে কিছু হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হতে শুরু করে। আর তাতেই বাড়ে যমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা।
বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে, ওবেসিটির সমস্যা থাকলেও যমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। বিশেষত যাদের বডি মাস ইনডেস্ক (বিএমআই) ৩০-এর ওপর, তাদের যমজ সন্তান হতে পারে।
খুব বেশি লম্বা মেয়েদের যমজ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। মেয়েদের গড় উচ্চতা ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি। গবেষকদের মতে, উচ্চতার জন্য দায়ী কিছু হরমোন যমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।
২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে জন্মহারের সমীক্ষা অনুযায়ী, গায়ের রং চাপা হলে যমজ সন্তানধারণের সম্ভাবনা বেশি থাকে।