পাহাড়ি জেলা রাঙ্গামাটিতে লেগেছে উৎসবের রং। নববর্ষ বরণে জেলায় বৈসাবি উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। উৎসবকে রাঙাতে বুধবার (৩ এপ্রিল) শুরু হয়েছে চার দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী বৈসাবি মেলা।
এ উপলক্ষ্যে বুধবার বিকেলে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে শোভাযাত্রা বের করা হয়। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের আয়োজনে বসেছে বৈসাবি মেলা।
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে আয়োজিত এই মেলায় বসেছে বিভিন্ন স্টল। সবগুলো স্টল ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর “মাচাং” ঘরের আদলে বাঁশ আর কাঠ দিয়ে তৈরি। আর এসব স্টলে স্থান পেয়েছে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যা, ম্রো, বম, চাক, পাংখোয়া, লুসাই, খুমী ও খিয়াং নৃ-গোষ্ঠীর সংস্কৃতির নানা উপকরণ।
মেলায় রাঙ্গামাটির ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক দল নিজ নিজ ঐতিহ্যবাহী সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশন করবেন। এছাড়া রয়েছে শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, খেলাধুলা, চাকমা নাটক, পাচন রান্না প্রতিযোগিতাসহ ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ। এর পাশাপাশি পাহাড়ের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীগুলোর জীবনধারার ওপর আলোকচিত্র প্রদর্শনীও হবে সেখানে।
পার্বত্য জনপদের পুরোনো বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে বরণের উৎসব জাতিগোষ্ঠিগুলো ভিন্ন ভিন্ন নামে উদযাপন করে থাকে। উৎসবকে ত্রিপুরারা বৈসুক, মারমারা সাংগ্রাই, তঞ্চঙ্গ্যারা বিসু ও চাকমারা বিজু বলে অভিহিত করে থাকে। এই চার নামের আদ্যাক্ষর নিয়ে বৈসাবি নামের উৎপত্তি। এই আয়োজন মূলত অনুষ্ঠিত হবে ১২, ১৩ ও ১৪ এপ্রিল।