সর্বজনীন পেনশন স্কিমে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ও এই প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে পৃথক দুটি মানববন্ধন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
রবিবার (২৬ মে) সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ঢাবি শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় তারা ৩০ জুনের মধ্যে এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করলে ১ জুলাই থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিত করার আল্টিমেটাম দেন। এছাড়া পেশাগত সুযোগ-সুবিধাসহ স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো প্রবর্তন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আগের পেনশন স্কিমের ধারা অব্যাহত রাখার দাবি জানান তারা।
এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির (ডুটা) সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া।
অপরদিকে একই দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির ডাকে সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনার সংলগ্ন সড়কে মানববন্ধন করেন জাবি শিক্ষকরা। এতে বিভিন্ন বিভাগের প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় তারা ২৭ মে’রমধ্যে দাবি না মানলে ২৮ মে থেকে ক্লাস বর্জনের হুঁশিয়ারি দেন। এতে শিক্ষক সমিতির সহসভাপতি অধ্যাপক সোহেল আহমেদের সভাপতিত্বে সঞ্চালনা করেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শাহেদ রানা।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক সুফি মোস্তাফিজুর রহমান, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ গোলাম রব্বানী আরও অনেকেই।
তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা যেখানে দেশ গড়ার কারিগর, মানুষ গড়ার কারিগর, আজ তারা সেখানে অবহেলিত হচ্ছে। প্রশাসনের আমলারা তো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করেই আমলা হয়েছেন, শিক্ষকরাই তো তাদের পড়িয়েছেন। তাহলে কেনো তাদের এ বিমাতাসুলভ আচরণ, সরকারকে কোনো বিভ্রান্ত করছেন।
এজন্য সার্বজনীন পেনশন স্কিম প্রত্যাখান করে ২০১৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের যে স্বতন্ত্র পে স্কিম করার কথা ছিল তা বাস্তবায়নের দাবি জানান তারা।
২০২৩ সালে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন-২০২৩ প্রণয়ন করা হয়। গত ১৩ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ এক প্রজ্ঞাপন জারি করে।
সেখানে বলা হয়, এ বছরের ১ জুলাইয়ের পর থেকে স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার চাকরিতে যারা নতুন যোগ দেবেন, তারা বিদ্যমান ব্যবস্থার মতো আর অবসরোত্তর পেনশন-সুবিধা পাবেন না। তার পরিবর্তে নতুনদের বাধ্যতামূলক সর্বজনীন পেনশনের আওতাভুক্ত করা হবে।