৬৫ বছর আগে খনন করা হয় জামালপুরে খনন করা হয় গবা খাল। শহরের জলাবদ্ধতা নিরসন এই খাল খননের মূল উদ্দেশ্য হলেও এর পানি ব্যবহৃত হতো কৃষিকাজে, পাওয়া যেত মাছ। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার বা পরিচ্ছন্নতার অভাবে খালটি হারিয়েছে স্বাভাবিক প্রবাহ। ফলে জামালপুর শহরে প্রতি বছরই দেখা দেয় জলাবদ্ধতা।
গবা খালকে আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু হয়েছে। জামালপুর পৌরসভা ও সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত ১২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ৩০ মিটার প্রস্থের গবা খাল। পৌর শহরের শেখেরভিটা এলাকা থেকে শুরু হয়ে খালটি শহরের মনিরাজপুর, ছুটগড় হয়ে কেন্দুয়া ইউনিয়নের নাকাটি, দামেশ্বর হয়ে ঝিনাই নদীতে গিয়ে শেষ হয়েছে।
সম্প্রতি খালে পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনার ঘোষণা দেন জামালপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ।
‘‘গ্রিন জামালপুর, ক্লিন জামালপুর’’ স্লোগানকে প্রতিপাদ্য ধরে শুক্রবার (৩১ মে) সকালে গবা খালের পাঁচটি পয়েন্টে প্রাথমিকভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ শুরু হয়।
শহরের শেখেরভিটা এলাকায় খালের উৎসমুখে পরিচ্ছন্নতা অভিযানের নেতৃত্ব দেন সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ। এ সময় জেলা প্রশাসক মো. শফিউর রহমান, পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান, পৌর মেয়র মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেনসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তিন শতাধিক সদস্য অংশ নেন। সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, পরিচ্ছন্নতা ও সংস্কারের মাধ্যমে গবা খালের প্রবাহ স্বাভাবিক রাখা গেলে শহরের পানি নিষ্কাশন ও বর্ষাকালে জলাবদ্ধতা নিরসন সম্ভব।
এমপি আবুল কালাম আজাদ বলেন, “নানান ধরনের বর্জ্যের কারণে গবা খালের প্রবাহ প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য এই খালটিই সবচেয়ে জরুরি। আমরা আজ এটা শুরু করলাম, তবে একদিনেই পরিষ্কার করা সম্ভব নয়। প্রশাসন, পৌরসভা, রাজনৈতিক নেতা, স্থানীয় জনসাধারণ সবার সহযোগিতায় কাজটি করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “খালের আশেপাশে যারা বসবাস করেন তাদের সচেতন হতে হবে। ডাস্টবিনের পরিবর্তে খালের ভেতর সরাসরি বর্জ্য ফেলা হলে খালটি আবার বন্ধ হয়ে যাবে।”
পৌর মেয়র মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন বলেন, “জামালপুর পৌর এলাকার ভেতর দিয়ে প্রবাহিত গবা খালের পাঁচ কিলোমিটার অংশ পৌর কর্তৃপক্ষ ও কেন্দুয়া ইউনিয়নের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত। বাকি সাত কিলোমিটারে পানি উন্নয়ন বোর্ড পরিচ্ছন্নতার কাজ করবে। এই খালটি আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে, আশা করি শহরের জলাবদ্ধতা অনেকটাই নিরসন হবে।”