ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রীকে হেনস্তার অভিযোগে গ্রেপ্তার মোস্তফা আসিফকে আদালতে পাঠিয়েছে শাহবাগ থানা-পুলিশ। তার মুক্তির দাবিতে রাত থেকে থানার সামনে অবস্থান নেওয়া একদল “তৌহিদি জনতা” সকাল সাড়ে ৯টার দিকে থানা এলাকা ত্যাগ করেন।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টায় তাকে আদালতে পাঠানো হয় বলে নিশ্চিত করেছেন শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ মনসুর।
জানা গেছে, অভিযুক্ত মোস্তফা আসিফ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সহকারী বাইন্ডার। ভুক্তভোগীর অভিযোগ পাওয়ার পরপরই বুধবার (৫ মার্চ) সন্ধ্যায় তাকে আটক করে শাহবাগ থানা পুলিশ। এরপর মধ্যরাতে অভিযুক্তকে ছাড়াতে শাহবাগ থানায় যান একদল “তৌহিদি জনতা”।
শাহবাগ থানার ডিউটি অফিসার বলেন, “মোস্তফা আসিফকে আটকের পর মধ্যরাতে কয়েকজন লোক থানায় আসে। তারা নানা স্লোগান দেয়, অভিযুক্তকে ছাড়িয়ে নিতে চায়। কিন্তু কোনো ধরনের উগ্র আচরণ করেনি। পরে আমরা আসামিকে আদালতে পাঠালে তারা চলে যায়। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তারা থানা ত্যাগ করে।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, “বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আমরা একটি অভিযোগ পাই যে আমাদের একজন শিক্ষার্থীকে আমাদের লাইব্রেরির সহকারী বুকবাইন্ডার অর্ণব হেনস্তা করেছে। পরে, কিছু ছাত্র তাকে আমার অফিসে নিয়ে আসে। আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে, সে হেনস্তার কথা স্বীকার করে। তারপর আমরা তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেই।”
রাত দেড়টার দিকে অর্ণবকে কেন গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাকে সেখান থেকে নিয়ে যেতে থানায় ঢুকে পড়ে একদল লোক। থাকায় কর্তব্যরত কর্মকর্তার কক্ষের ভেতর থেকে ঘটনাটি লাইভ স্ট্রিম করা হয়। এক পর্যায়ে, তারা থানা হাজতের কাছে গিয়ে অর্ণবের একটি সরাসরি সাক্ষাৎকার সম্প্রচার করে।
এক বিক্ষোভকারী বলেন, তারা তারাবির নামাজের পর গ্রেপ্তারের কথা জানতে পেরে মধ্যরাতে থানায় আসেন। তিনি দাবি করেন যে অর্ণবকে “অন্যায়ভাবে” গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তার মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত সেখানেই থাকবেন।
আটক অবস্থায় অভিযুক্ত ব্যক্তির ফেসবুক লাইভ প্রসঙ্গে ওসি খালিদ মনসুর বলেন, “অনেক মানুষ এসেছিল মোস্তফা আসিফকে ছাড়িয়ে নিতে। আটক ব্যক্তি যেখানে ছিল, তাদের কেউ কেউ সেখানেও গিয়েছে। সেখান থেকে কেউ একজন ফোন দিয়ে লাইভ করতে পারে। আটক ব্যক্তি নিজের ফোন দিয়ে লাইভ করেনি।”