দীর্ঘ প্রায় ৭ ঘণ্টা পর অবরোধ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। ফলে যান চলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।
বনানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় এক নারী পোশাকশ্রমিক নিহত হওয়ার বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা সড়ক অবরোধ করেছিলেন। অবরোধের কারণে বনানীসহ আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছিল। এতে ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতেও যানজটের সৃষ্টি হয়।
বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল সরোয়ার বলেন, “নিহত নারী পোশাকশ্রমিককে ধাক্কা দেওয়া পিকআপটি ইতোমধ্যে তেজগাঁও থানা-পুলিশ আটক করেছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তেজগাঁও বাসস্ট্যান্ড থেকে গাড়িটিকে আটক করা হয়। তবে চালক পালিয়ে গেছেন। তাকেও আটক করার চেষ্টা চলছে।”
এর আগে সকাল ৬টার দিকে বনানীর চেয়ারম্যান বাড়ি এলাকায় রাস্তা পারাপারের সময় গাড়িচাপায় নিহত হন মিনারা আক্তার নামের এক পোশাকশ্রমিক। এ ঘটনায় আহত আরেক শ্রমিক সুমাইয়া আক্তারকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দুর্ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা বনানী এক্সপ্রেসওয়েও অবরোধ করেন। একপর্যায়ে তারা নিহতের মরদেহ কফিনে নিয়ে মিছিল শুরু করেন। এর ফলে গুলশান, মহাখালী ও কাকলি এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশের আশ্বাসে ও শ্রমিক নেতাদের মধ্যস্থতায় বিক্ষোভকারীরা রাস্তা ছেড়ে দেন।
বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল সরকার বলেন, “শ্রমিক নেতারা আশ্বস্ত করেছেন যে নিহতের পরিবার ন্যায়বিচার পাবে। এছাড়া আমরা নিশ্চিত করেছি দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে। এরপর শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।”