ঢাকার বাড্ডা এলাকায় মো. তানভীর (২২) নামের এক তরুণকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। তিনি বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বের জেরে তানভীরকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছিল। তানভীর ছিলেন জুনিয়র গ্রুপের সদস্য। ওই ঘটনায় করা মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তানভীরকে আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার বাবা সাহাদুল্লাহ। তিনি জানান, তারা সপরিবার বাড্ডা কবরস্থান এলাকায় থাকেন। তানভীর তাদের সঙ্গেই থাকতেন। গতকাল রাতে তানভীর কর্মস্থল থেকে বাসায় ফেরেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে আবার বাইরে বের হন। বাসার কাছে স্থানীয় সিনিয়র গ্রুপের ছয়-সাতজন সদস্য পূর্বশত্রুতার জেরে তানভীরের পিঠে এলোপাতাড়ি ছুরি মেরে তার কাছ থেকে মুঠোফোন ও মাসিক বেতনের ১০ হাজার টাকা নিয়ে রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যান। খবর পেয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় তানভীরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকাল ৯টার দিকে মারা যান।
বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, “সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বের জেরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার রাতে তানভীরের বাবা ছয়জনের নাম উল্লেখ করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।”
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. হাসানুর রহমান বলেন, “মামলা হওয়ার পর গতকাল রাতেই বাড্ডার কবরস্থান এলাকায় অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত শাওন, হাবিব ও স্বাধীনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”