কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ডে শনিবার (১৫ মার্চ) ৫৫,১৯১ শিশুকে ভিটামিন “এ” ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সকালে নগর ভবনের অতিন্দ্র মোহন রায় সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ছামছুল আলম।
তিনি বলেন, “সিটি এলাকাজুড়ে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে ১১৪টি কেন্দ্রে ৫৫,১৯১ জন শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতিটি টিকাদান কেন্দ্রে ২ জন স্বেচ্ছাসেবক ও প্রতিটি ওয়ার্ডে ২ জন সুপারভাইজার দায়িত্বরত থাকবেন।”
তিনি জানান, জাতীয় ভিটামিন “এ” প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নগরীর ১১৪টি টিকাদান কেন্দ্রে ৬-১১ মাস বয়সী ৭,৮২৫ জন শিশুকে নীল ক্যাপসুল ও ১২-৫৯ মাস বয়সী ৪৭,৩৬৬ জন শিশুকে লাল ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ছামছুল আলম বলেন, "জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি, যা শিশুদের অপুষ্টিজনিত সমস্যা প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় এ কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নের জন্য আমরা সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। নির্ধারিত ১১৪টি কেন্দ্রে দক্ষ স্বেচ্ছাসেবক ও সুপারভাইজারদের মাধ্যমে এই কার্যক্রম পরিচালিত হবে।"
তিনি আরও বলেন, "আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে শতভাগ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুলের আওতায় আনা। এজন্য অভিভাবকদের সচেতন করতে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। আমরা সবাই মিলে কাজ করলে শিশুদের অপুষ্টি প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবো।"
তিনি জানান, কোনো শিশু যাতে বাদ না পড়ে সেজন্য নগরীর টমছমব্রীজ, পূবালী চত্বর, চকবাজার বাস টার্মিনাল, শাসনগাছা বাস টার্মিনাল, কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার সড়ক ও কুমিল্লা রেলওয়ে স্টেশনে থাকবে ভ্র্যাম্যমাণ কেন্দ্র।
সব টিকাদান কেন্দ্রে সহযোগী সংস্থার দায়িত্বে থাকবেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার প্রজেক্ট, সূর্যের হাসি ক্লিনিক, রোটারি ক্লাব, এপেক্স ক্লাব অব কুমিল্লা সিটি, বিডি ক্লিন কুমিল্লা। কোনো শিশুর ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর পর কোনো সমস্যা দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতাল ও কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে। এছাড়া কোনো শিশুর শরীরে জ্বর থাকলে তাকে টিকা না খাওয়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এ সময় কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের সচিব মোহাম্মদ মামুন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. আবু সায়েম ভূঁইয়া, মেডিকেল অফিসার ডা. চন্দ্রনা রাণী দেবনাথ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ইপিআই) মো. জহিরুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।