Friday, April 25, 2025

সেকশন

English
Dhaka Tribune

শিশু ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে যুবককে পিটিয়ে হত্যা

শিশুটির বাবার করা অভিযোগ মামলা হিসেবে গ্রহণ করার প্রক্রিয়া চলছে

আপডেট : ১৬ মার্চ ২০২৫, ১০:১৪ এএম

বরিশালে ৪ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মো. সুজন (২৫) নামের এক তরুণকে পিটুনি দিয়েছে জনতা। পরে তার মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (১৫ মার্চ) সন্ধ্যায় নগরের ধান গবেষণা রোডে স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করে পিটুনি দেয়। এরপর রাত আটটার দিকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তবে সুজনের পরিবারের সদস্যদের দাবি, মাদক বিক্রি করতে রাজি না হওয়ায় সুজনকে পরিকল্পিতভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

এদিকে সুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ করে শিশুটির বাবা কোতোয়ালি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এতে উল্লেখ করা হয়, শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে তার শিশুকন্যাকে একটি কাজে সুজনের বাড়িতে পাঠানো হয়। তখন সুজন একা বাড়িতে অবস্থান করছিল। ওই শিশু ভেতরে প্রবেশ করতেই তাকে আটকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় সুজন। এ সময় শিশুটি চিৎকার দিলে সুজন পালিয়ে যায়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এ ঘটনায় শিশুটির বাবার অভিযোগ পাওয়ার পর শনিবার পুলিশ তদন্ত করতে ওই এলাকায় যায়। পুলিশের কাছে ধরিয়ে দিতে স্থানীয় লোকজন সুজনকে আটক করে। এ সময় উত্তেজিত লোকজন তাকে পিটুনি দিলে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। রাত আটটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুজন মারা যান।

নিহত সুজনের ছোট ভাই মো. আকাশ দাবি করেন, তার ভাইকে দিয়ে এলাকার একটি মাদক ব্যবসায়ী চক্র মাদক বিক্রি করাত। সুজনও মাদকাসক্ত ছিল। মাসখানেক আগে স্বজনদের পক্ষ থেকে সুজনকে মাদক বিক্রি ও সেবন না করতে চাপ প্রয়োগ করা হয়। এমনকি তাকে ঘর থেকে বের হওয়াও বন্ধ করে দেয় পরিবার। এরপর সুজনকে ওই চক্র বারবার তাদের সঙ্গে কাজে যেতে তাগিদ দিলেও সুজন আর যাননি। এতে ক্ষিপ্ত হয় ওই চক্রটি।

আকাশ বলেন, “কয়েক দিন আগে ভাইকে বাইরে ডেকে নিয়ে ওই চক্রের সদস্যরা মারধর করেছিল এবং তাদের সঙ্গে কাজ না করলে হত্যার হুমকি দিয়েছিল। এর জেরেই মিথ্যা অভিযোগ তুলে ভাইকে মেরে ফেলা হয়েছে।”

কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মানিক সাহা জানান, নিহত সুজনের লাশ শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

ওসি মিজানুর রহমান বলেন, “শিশুটির বাবার করা অভিযোগ মামলা হিসেবে গ্রহণ করার প্রক্রিয়া চলছে। অন্যদিকে পিটুনিতে মৃত্যুর ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

   

About

Popular Links

x