আদালতের পুরোনো কাগজ দেখিয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে শপথ গ্রহণ করে জায়েদ খান প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন বলে দাবি করেছেন সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন। একই সঙ্গে জায়েদ খানের শপথ গ্রহণকে অবৈধও ঘোষণা করেছেন তিনি।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে জায়েদ খান দাবি করলেন, তিনি কোনো প্রতারণা করেননি। বরং আইনি নিয়ম মেনেই সবকিছু করেছেন বলে জানান এ চলচ্চিত্র অভিনেতা।
এক প্রতিবেদনে এ কথা জানায় প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করণ।
ইলিয়াস খানের অভিযোগ প্রসঙ্গে জায়েদ খান বলেন, “ইলিয়াস কাঞ্চন ভাই ভুল বুঝছেন। আমি প্রতারণার আশ্রয় নেইনি, প্রশ্নই ওঠে না। কী কারণে নেব? রায় তো আমার পক্ষে। এটা সবাই জানে। পত্রিকায় রায়ের নিউজও হয়েছে। এখন কথা হচ্ছে, রায়ের কপি আদালত থেকে বের হতে সময় লাগে।”
আরও পড়ুন- জায়েদ 'প্রতারণা' করেছেন, অভিযোগ ইলিয়াস কাঞ্চনের
তিনি আরও বলেন, “রায় পাওয়ার পর নিয়ম অনুযায়ী যে কেউ তার আইনজীবীর কাছ থেকে ল ইয়ার সার্টিফিকেট নিতে পারেন। আদালতের রায় হয়ে গেছে সবাই জানেন। আমি ল ইয়ার সার্টিফিকেটও জোগাড় করেছি। এটা বৈধ। আমি যদি ভুয়া কাগজ জোগাড় করে শপথ নিই, তাহলে নিপুণ কি ভুয়া কাগজ দেখিয়ে আপিল করলেন? রায় হয়েছে বলেই তো সেটার প্রমাণ দেখিয়ে আপিল করেছেন তিনি। হাইকোর্টে আমি মামলাটা জিতেছি। কাঞ্চন ভাই সেই কাগজ পড়েই আমাকে শপথ পাঠ করিয়েছেন। এখানে প্রতারণা বা ছলনার কথা আসছে কোথা থেকে, বুঝতে পারছি না।”
এর আগে দুবার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা এ অভিনেতা বলেন, “আপিলের কপি তো অনলাইনে প্রকাশিত হয়েছে। সেই কাগজটাই আমি দিয়েছি। কিন্তু এটা নিয়ে এভাবে সংবাদ সম্মেলন করবেন ইলিয়াস কাঞ্চন ভাই, আসলে আমি ভাবতেই পারিনি। তার সব অভিযোগই অস্বীকার করছি। কারণ, কোথাও একটা ভুল হচ্ছে। তিনি অনেক সম্মানিত মানুষ। আমি ও আমার ল ইয়ার কাঞ্চন ভাইয়ের অফিসে গিয়ে বিষয়টি বিস্তারিত জানিয়েছি।”
জায়েদ খান আরও বলেন, “এমনিতে আমাদের শিল্পী সমিতির জন্য শপথ জরুরি না, বরং সেদিন আমাদের সভা বৈধ। সেখানে কোরাম পূর্ণ হয়েছিল।”
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে সৃষ্ট জটিলতায় জায়েদ খান ও তার প্রতিদ্বন্দ্বী চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার উভয়কেই এই পদে দায়িত্ব পালনের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করা হয়েছে। আদালতের এ নির্দেশের কারণে জায়েদ কিংবা নিপুণের কারোরই সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসা হচ্ছে না।
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাধারণ সম্পাদক অনুপস্থিত থাকলে তার দায়িত্ব পালন করেন সহসাধারণ সম্পাদক। তাই শিল্পী সমিতিতে আপাতত কোনো সাধারণ সম্পাদক না থাকায় সাইমন সাদিক ওই পদে দায়িত্ব পালন করবেন।