সংগীতশিল্পী আসিফ আকবরের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে (আইসিটি) আইনে করা মামলার বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। মামলায় অভিযোগ গঠন ও অব্যাহতির আবেদন খারিজের বিরুদ্ধে আসিফের করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে এ আদেশ দেওয়া হয়।
সোমবার (১১ এপ্রিল) বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সামিরা তারান্নুম রাবেয়া মিতি। আদালতে আসিফের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মঈন ফিরোজী।
এর আগে গত ১৩ জানুয়ারি ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন আসিফের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগ গঠনে আদেশ দেন। একইসঙ্গে ২৩ জুন সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ঠিক করেন। এ অবস্থায় ওই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে আসিফ আকবর। এর বিরুদ্ধে আসিফ হাইকোর্টে আপিল করেন।
প্রথম আলোকে আইনজীবী মঈন ফিরোজী গণমাধ্যমকে বলেন, আসিফ আকবরের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় মামলা করা হয়। কিন্তু ২০১৮ সালের ৮ অক্টোবর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন হওয়ার মাধ্যমে ৫৭ ধারা বিলুপ্ত হয়। তখন যেসব মামলা বিচারাধীন ছিল, সেগুলো চলমান থাকবে বলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বলা হয়। কিন্তু আসিফের ক্ষেত্রে মামলাটি তখন তদন্ত পর্যায়ে ছিল, যা বিচার পর্যায়ের অংশ নয়। তাই মামলাটি ৫৭ ধারায় চলার সুযোগ নেই। আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে হাইকোর্ট তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় আসিফ আকবরের বিরুদ্ধে করা ওই মামলার কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৪ জুন গীতিকার ও কণ্ঠশিল্পী শফিক তুহিন আসিফের নামে তেজগাঁও থানায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৮ সালের ১ জুন চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের সার্চ লাইট অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শফিক তুহিন জানতে পারেন, অনুমতি ছাড়াই আসিফ আকবর তারসহ বিভিন্ন গীতিকার ও সুরকারের ৬১৭টি গান বিক্রি করেছেন। ২ জুন এ বিষয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন শফিক তুহিন। সেই পোস্টের পরিপ্রেক্ষিতে পরদিন রাতে আসিফ ফেসবুক লাইভে এসে বাদীকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যসহ হুমকি দেন। এ ঘটনায় ২০১৯ সালের ২০ নভেম্বর পুলিশ পৃথক দুটি অভিযোগে দণ্ডবিধি ও তথ্য-প্রযুক্তি আইনে দুটি অভিযোগপত্র দাখিল করে।