ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় গুলিতে মারা যান অভিনয়শিল্পী তানজিন তিশার সহকারী আল আমিন। তার মৃত্যুর পর সাত মাস পার হয়ে গেছে। গত সোমবার ময়নাতদন্তের প্রয়োজনে তার মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ পারভেজের নেতৃত্বে এবং উত্তরা পশ্চিম থানা ও শ্রীনগর থানা-পুলিশের তত্ত্বাবধানে শ্রীনগর উপজেলার বালাসুর কাশেমনগর কবরস্থান থেকে আল আমিনের মরদেহ উত্তোলন করা হয়। মৃত্যুর ৭ মাস পর আল আমিনের মরদেহ উত্তোলনের খবরে মর্মাহত অভিনয়শিল্পী তানজিন তিশা।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই উত্তরায় গুলিতে নিহত হন আল আমিন। পরে তাকে উত্তরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে ময়নাতদন্ত ছাড়াই শ্রীনগর উপজেলার কাশেমনগর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এর ৪ মাস পর ডিসেম্বরে নিহত ব্যক্তির বড় ভাই বাদল বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা করেন।
আল আমিনের মরদেহ উত্তোলনের খবর শোনার পর এই অভিনেত্রী মঙ্গলবার রাতে তার ভেরিফায়েড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, “আল আমিন, শুধুমাত্র সহকারী নয়, সে আমার ভাই, যে আমার সঙ্গে ৫টি বছর ছিল। যে ছিল নিষ্পাপ একটি ছেলে এবং সে জুলাই ও আগস্ট এর আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহিদ হয়। ৭ মাস পর আল আমিনের মরদেহ কবর থেকে ওঠানোর মতো নির্মম বিষয়টি আমি মোটেও সমর্থন করছি না। এই কর্মের মাধ্যমে কি লাভ হবে? শুধুমাত্র ওর আত্মাটা কষ্ট পাচ্ছে। পুরো বিষয়টা আমি জানার পর বিষয়টি আমার কাছে মেনে নেওয়া অনেক কষ্টদায়ক। এর পেছনে যে বা যারা জড়িত তারা কোন উদ্দেশ্যে এই কাজটি করেছে আমি চিন্তা করে খুবই হতবাক বিষয়টি নিয়ে। ভাইয়া তুই ভালো থাকিস।”