শার্ট, ট্রাউজার, চামড়ার জ্যাকেট- সবই কালো রঙের! সাজসঙ্গী বেল্ট, সানগ্লাস, জুতা আর ঘড়ি। সে সবও কালো রঙের। কিন্তু সবার নজরে পড়েছে সেই গলার নেকলেসটা।
প্রথম ম্যাচেই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর কাছে হেরেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। হারের ক্ষত না শুকালেও অভিনেতা শাহরুখ খানের গলার ‘‘ব্লাইডিং’’ হীরার ঝলকানি দেখে মন ভরে গিয়েছে কলকাতাবাসীর! শনিবার সন্ধ্যায় খেলা শুরুর আগে ছিল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। সেখানে সঞ্চালকের ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্সের মালিক অভিনেতা শাহরুখ খানকে। সঙ্গে ছিল শ্রেয়া ঘোষালের গান, দিশা পাটানির নাচ, ‘‘তওবা তওবা’’ খ্যাত গায়ক করণ আউজলাও গান শুনিয়েছেন।
এই শহর শাহরুখের বিষয়ে বরবারই দুর্বল। এক ঝলক তাকে দেখার জন্য ইডেনের গ্যালারি ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। যথাসময়ে কালো পোশাকে মঞ্চে দেখাও গেল অভিনেতাকে। কালো পোশাকের মাঝে সকলের নজর কেড়েছে গলার ওই হারটি। আইপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্য কালো পোশাকের সঙ্গে হিরের স্ফটিক দিয়ে তৈরি দুইনরির ‘‘ব্লাইন্ডিং’’ হার বেছে নিয়েছিলেন তিনি। কাটা হীরার এমনিতেই উজ্জ্বল। কিন্তু ‘‘ব্লাইন্ডিং’’ হীরার ঔজ্জ্বল্য অনেক গুণে বেশি। সেই হীরার দ্যুতিতে চোখ ঝলসে যাওয়া স্বাভাবিক।
এই হীরার বিশেষত্ব কী?
‘‘ব্লাইন্ডিং’’ হীরার স্ফটিকের বিশেষত্ব হলো তার আকার এবং আকৃতি। হীরা এমনিতেই উজ্জ্বল। কিন্তু ‘‘ব্লাইন্ডিং’’ হীরার ঔজ্জ্বল্য অনেক গুণে বেশি। খনি থেকে যে হীরকখণ্ড পাওয়া যায়, তা আসলে আকরিক অবস্থায় থাকে। তার আকার, আকৃতি, আয়তন বিভিন্ন ধরনের হয়। হীরা স্ফটিকে পরিণত হওয়ার নেপথ্যেও নানা কারণ কাজ করে। মাটির তলদেশে বিভিন্ন স্তর রয়েছে। সেই স্তরভেদে সেখানকার আবহাওয়া, তাপমাত্রা, চাপ এবং রাসায়নিক উপাদান বদলে যায়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, তার ওপর নির্ভর করেই বদলাতে থাকে আকরিকের চরিত্র। হাজার হাজার বছর ধরে তা রূপান্তরিত হতে হতে স্ফটিকে পরিণত হয়। পিরামিডকে উল্টো করে দিলে যেমন দেখতে লাগে, হিরের স্ফটিক দেখতেও অনেকটা তেমনই। তবে খনি থেকে প্রাপ্ত সেই স্ফটিকের ঔজ্জ্বল্য বিশেষ থাকে না। পরে কাটাই এবং পালিশের মাধ্যমে তা চকচকে করে তোলা হয়।
গয়নার বিষয়ে শাহরুখ এবং তার স্টাইলিস্ট শালিনা নাথানি, দু’জনেই বেশ কৌতূহলী। হীরা, পান্নাখচিত নানা ধরনের গয়না নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা করেন তারা। আইপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শাহরুখ যে শহরবাসীর জন্য বিশেষ কোনো চমক রাখবেন, সে কথা বলাই বাহুল্য। অভিনেতার কণ্ঠে ব্লাইন্ডিং হীরার গয়নার সঙ্গ দিয়েছিল বিলাস-প্রসাধনী সংস্থা বুলগরির রুপোর ‘‘কাফ’’ দুল। তাতেও হীরা বসানো। ডান হাতে ছিল হীরাখচিত টেনিস ব্রেসলেট আর বাঁ হাতে ছিল ঘড়ি। সবই উল্লিখিত প্রসাধনী সংস্থার।
ফুলহাতা কালো রঙের শার্টের সঙ্গে ওই রঙেরই ‘‘হাই-রাইজ় ওয়েস্টলাইন’’ ট্রাউজার ছিল অভিনেতার পরনে। সঙ্গে ছিল চামড়ার জ্যাকেট, সেটিও কালো রঙের। কোমরে কালো বেল্টের উপস্থিতি টের পাইয়ে দিচ্ছিল নাভির কাছে থাকা রুপোলি বাকলের।