সূর্যের তীব্র তাপপ্রবাহে গ্রীষ্মকালে বাড়িঘর যখন হট চেম্বারে পরিণত হয়, তখন ঠান্ডার আমেজ পেতে মানুষ এয়ার কন্ডিশনার চালু করতে বাধ্য হয়। যদিও বর্তমানে সবাই জানে এসি বিশ্ব উষ্ণায়নে কতটা প্রভাব ফেলে। তবুও গ্রীষ্মের প্রচণ্ড তাপের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে আমরা সকলেই অসহায় হয়ে পড়ি। এই ঋতুতে ঘর কিছুটা ঠান্ডা এবং সতেজ রাখতে পরিবেশবান্ধব সমাধানের দিকে ঝোঁকা যেতে পারে। সেটা কীরকম?
প্রাকৃতিক এয়ার কুলার অর্থাৎ ঘরের ভেতরে গাছপালা রেখে গ্রীষ্মের তাপকে কিছুটা পর্যুদস্ত করা যেতে পারে। যাদের ইন্ডোর প্ল্যান্ট বলা হয় এখানে তাদের কথাই বলা হচ্ছে। এই ইন্ডোর প্ল্যান্টস ঘরকে ঠান্ডা রাখতে অনেকাংশে সাহায্য করে।
নাসার আর্থ সায়েন্স স্টাডি অনুসারে, গাছপালা সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা পরিবর্তন করতে পারে। একইভাবে, ঘরের ভেতরের গাছপালাও একই প্রক্রিয়ায় ঘরকে সতেজ এবং শীতল রাখে। এখানে পাঁচটি ইন্ডোর প্ল্যান্টের তালিকা দেওয়া হলো যা গ্রীষ্মের তাপকে পরাজিত করে ঘর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।
অ্যালোভেরা
যদিও ত্বকের যত্নে এটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ, তবুও অ্যালোভেরা গাছ বাতাস বিশুদ্ধ করার জন্য ঘরের ভেতর রাখা হয়। কারণ এটি ঘরে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়ায়। অ্যালোভেরা গাছ ফর্মালডিহাইড এবং বেনজিনের মতো বিষাক্ত পদার্থ ফিল্টার করতে সাহায্য করে, যা সাধারণত গৃহস্থালীর পণ্যের মাধ্যমে ঘরে ঢোকে।
লাকি ব্যাম্বু
লাকি ব্যাম্বুকে সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা ঘরে সতেজতার অনুভূতি আনে। এই গাছটিকে খুব বেশি রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন পড়ে না। এটি বাতাস থেকে কার্বন মনোক্সাইড, বেনজিন এবং ফর্মালডিহাইডের মতো বিষাক্ত পদার্থ শোষণ করে।
পিচ লিলি
এই গাছটি ঘরের ভেতরে একটি নান্দনিক পরিবেশ তৈরি করে। এর রংবাহারি সুন্দর ফুল ঘরের শোভা বাড়ায়। এছাড়াও, এটি বাতাসের অতিরিক্ত আর্দ্রতা শোষণ করে, শ্বাসকষ্ট কমায় এবং গ্রীষ্মের মাসগুলোতে বাতাসে আর্দ্রতার ভারসাম্য বজায় রাখে।
স্পাইডার প্ল্যান্ট
স্পাইডার প্ল্যান্ট কার্বন মনোক্সাইড এবং ফর্মালডিহাইডের মতো দূষণকারী পদার্থ ফিল্টার করতে সাহায্য করে। এটি অক্সিজেন নিঃসরণ বাড়ায় এবং এর লম্বা ক্যাসকেডিং পাতার মাধ্যমে বায়ু সঞ্চালন উন্নত করে।
অ্যারেকা পাম
অ্যারেকা পাম ঘরে অক্সিজেনের মাত্রা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি বাতাস থেকে ক্ষতিকারক বিষাক্ত পদার্থ অপসারণ করতে সাহায্য করে। এটি বাতাসের শুষ্কতা রোধ করে প্রাকৃতিক আর্দ্রতা প্রদানকারী হিসেবে কাজ করে।