উত্তর আফ্রিকার দেশ তিউনিসিয়ায় সরকার পরিবর্তন এবং প্রেসিডেন্ট কায়েস সাইদের পদত্যাগের দাবিতে জনবিক্ষোভ শুরু হয়েছে।
রাজধানী তিউনিসে পাঁচটি রাজনৈতিক দলের জোট ন্যাশনাল স্যালভেশন ফ্রন্টের ডাকে সোমবার (১৬ মে) দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করছেন সাধারণ মানুষ।
স্লোগানে বিক্ষোভকারীরা বলছেন- ‘‘জনগণ গণতন্ত্র চায়’’, ‘‘দেশকে দুর্ভিক্ষে ঠেলে দিয়েছেন সাইয়িদ’’।
রাজনৈতিক জোটে নেমেসিস ইসলামপন্থী দল এন্নাহদা পার্টিসহ চারটি নাগরিক সংগঠন। জোটের সমন্বয়ক দেশটির প্রবীণ রাজনীতিবীদ নাজিব ছেবি আগামী ২৬ এপ্রিলের মধ্যে সরকারকে পদত্যাগের জন্য সময় বেঁধে দিয়েছেন।
৭৮ বছর বয়সী ছেবি তিউনিসিয়ায় স্বৈরশাসক জেইন আর আবেদিন বেন আলীর শাসনামলে বিরোধীদলের অন্যতম মুখপাত্র ছিলেন।
যদিও দ্বিতীয় দিনের বিক্ষোভে প্রত্যাশামাফিক জমায়েত পাননি বিক্ষোভকারীরা।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ৫৭ বছর বয়সী শিক্ষক সালাহ জাওই বলেন, বিশাল বিদ্রোহে স্বৈরশাসক বেন আলীকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছিল। সেখান থেকেই আরব বসন্ত শুরু হয়েছিল। এবারেও তেমন কিছু হবে।
২০১৯ সালে রাজনৈতিক আন্দোলনের মুখে সরকারকে বরখাস্ত ও সংসদ স্থগিত করে ক্ষমতা দখল করেন সাইদ। পরে ডিক্রি জারি করে তিনি আইন প্রণয়নের ক্ষমতা নিয়ে বিচার বিভাগের নিয়ন্ত্রণ নেন।
খালেদ বেনবদেল করিম নামে এক আন্দোলনকারী বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, সাইদ এখানে নিজের রাজত্ব কায়েম করতে চাইছেন। কিন্তু আমরা সেটা হতে দেবো না।
অভিযোগ করে তিনি আরও বলেন, সাইদ জনগণের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন এবং গণতন্ত্র ধূলিসাৎ করেছেন। তার কোনো নীতি-আদর্শ নেই।
এদিকে এই বিক্ষোভের জেরে প্রেসিডেন্ট সাইদ বলেছেন, তিনি কোনো অসাংবিধানিক কাজ করেননি। বরং ২০১৪ সালের সংবিধান তাকে কাজের স্বাধীনতা দিয়েছে।