সীমান্তের চারটি গ্রাম আজারবাইজানকে ফিরিয়ে দিয়েছে আর্মেনিয়া। এই ঘটনাকে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর থেকে দুটি যুদ্ধে লিপ্ত ঐতিহাসিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
দুই দেশের সীমান্ত সীমানা নির্ধারণ কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এটি করা হয়।
শুক্রবার আর্মেনিয়ার নিরাপত্তা পরিষেবা বলেছে, সীমান্ত রক্ষীরা আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন অবস্থান গ্রহণ করেছে।
আজারবাইজানের উপ-প্রধানমন্ত্রী শাহিন মুস্তাফায়েভ ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, তার দেশের সীমান্তরক্ষীরা চারটি বসতির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
এ বছরের মার্চে দুই দেশ একটি স্থায়ী শান্তি চুক্তি সুরক্ষিত করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এমন সিদ্ধান্তে আসে। এতে করে ইয়েরেভান ও বাকু সীমান্তের দীর্ঘ সীমানা নিয়ে বিরোধ ফুরালো বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আজারবাইজান তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা সংঘাতের পর একটি শান্তি চুক্তির শর্ত হিসেবে গ্রামগুলো ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিল। এই অঞ্চলের বেশিরভাগই নাগোর্নো-কারাবাখ অঞ্চলকে কেন্দ্র করে রয়েছে।
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে আজারবাইজানের পক্ষে পরিস্থিতি নাটকীয়ভাবে পরিবর্তিত হয়। ওই সময় তাদের বাহিনী নাগর্নো-কারাবাখের নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধারের জন্য হঠাৎ হামলা করে। যেখানে নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি থেকে জাতিগত আর্মেনীয়রা প্রকৃত স্বাধীনতা উপভোগ করেছিল।
কার্যত এক লাখ জনসংখ্যার পুরো জনসংখ্যা কয়েক দিনের মধ্যে আর্মেনিয়ায় পালিয়ে যায়।