দীর্ঘ ৯ মাস ধরে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) আটকে থাকার পর পৃথিবীতে ফিরেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ সংস্থা নাসার ২ নভোচারী। তারা হলেন- সুনিতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলেমার। তাদের মহাকাশ থেকে ফিরিয়ে আনতে গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের কেনেডি স্পেস থেকে একটি মিশন পাঠায় নাসা ও ইলন মাস্কের স্পেসএক্স। খবর ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির।
নাসা ও স্পেসএক্সের এই মিশনের নাম দেওয়া হয়েছে ‘‘ক্রু-১০’’। এই মিশনে নতুন ২ নভোচারীকে পাঠানো হয়। মাস্কের মালিকানাধীন কোম্পানি স্পেসএক্সের ‘‘ক্রু ড্রাগন’’ ক্যাপসুলে ফিরে এসেছেন তারা।
সুনিতা ও বুচ দুজন গত বছরের জুন মাস থেকে আইএসএসে রয়েছেন। আট দিনের মহাকাশ মিশনে সেখানে যান তারা। কিন্তু বোয়িংয়ের স্টারলাইনার মহাকাশযানে ত্রুটির কারণে তারা সেখানে আটকা পড়েন। এরপর একে একে ২৮৬ দিন সেখানেই কাটাতে হলো তাদের।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ৫৭ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের উপকূলে অবতরণ করেছে তাদের বহনকারী ক্যাপসুলটি।
চারটি বিশেষ প্যারাসুটের সাহায্যে ফ্লোরিডার উপকূলে নামে ক্রু ড্রাগন। ইলন মাস্ক তার এক্স অ্যাকাউন্টে ক্যাপসুলটির অবতরণের দৃশ্য শেয়ার করেছেন।
ফ্লোরিডার উপকূলে নেমে আসার পর কিছুক্ষণ সমুদ্রে ভাসছিল তাদের বহনকারী ক্রু ড্রাগন ক্যাপসুল। ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া কয়েকটি ছবিতে দেখা যায়, ক্যাপসুলটিকে ঘিরে সাঁতার কাটছে কিছু কৌতুহলি ডলফিন। প্রায় ঘণ্টাখানেক পর মার্কিন নৌবাহিনীর একটি উদ্ধারকারী জাহাজ এই নভোচারীদের ক্যাপসুল থেকে বের করে নিয়ে আসে। পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির সঙ্গে যেন তারা খাপ খাইয়ে নিতে পারেন, মূলত সেজন্য এক ঘণ্টা সময় নিয়েছে নৌবাহিনীর উদ্ধারকারী জাহাজ।
মহাকাশচারীদের অবতরণের পর তাৎক্ষণিক এক সংবাদ সম্মেলনে নাসার উপ-সহযোগী প্রশাসক জোয়েল মনটালবানো এবং কার্যক্রম সমন্বয় ব্যবস্থাপক বিল স্পিচ বলেন, “৯ মাসে ৯০০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে প্রায় ১৫০টি গবেষণা করেছেন তারা। তাদের ফিরে আসায় আমরা খুবই খুশি।”