গাজায় যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে হামাস “ইতিবাচক সাড়া” দেওয়ার পর এবার যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আশাবাদ জানালেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
শুক্রবার (৫ জুলাই) এয়ারফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, “আগামী সপ্তাহেই গাজায় একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হতে পারে।”
তবে আলোচনার অগ্রগতি সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি বলেও জানান ট্রাম্প।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে ইতিমধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। ট্রাম্প জানান, ইসরায়েল ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির জন্য প্রয়োজনীয় শর্তগুলো মেনে নিয়েছে, যাতে এই সময়ের মধ্যে দুই পক্ষ স্থায়ী যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যেও কাজ করতে পারে।
হামাসকেও “চূড়ান্ত প্রস্তাব” মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ট্রাম্প সতর্ক করেছেন যে, “এ চুক্তির চেয়ে ভালো কিছু আর আসবে না, বরং পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।”
হামাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা মধ্যস্থতাকারীদের কাছে ইতিবাচক জবাব জমা দিয়েছে এবং নতুন আলোচনায় অংশ নিতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত। হামাসের মিত্র ইসলামিক জিহাদও যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনাকে সমর্থন জানালেও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির নিশ্চয়তা চেয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে ধাপে ধাপে গাজার উত্তর ও দক্ষিণ অংশ থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ফিলিস্তিনের এক কর্মকর্তা জানান, হামাস চায়, মার্চের শেষ দিকে যুদ্ধবিরতি ভাঙার আগে ইসরায়েলি বাহিনী যেখানে অবস্থান করছিল, সেখানেই তারা ফিরে যাক।
এর আগে, জানুয়ারিতে কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি হয়েছিল। কিন্তু মার্চের পর থেকে ইসরায়েলের নতুন হামলায় গাজায় আবারও মানবিক বিপর্যয় দেখা দেয়। হামাস ও মিত্র সংগঠনগুলো এবার এমন চুক্তি চাইছে, যাতে আলোচনায় কোনো অগ্রগতি না হলেও ইসরায়েল নতুন বিমান বা স্থল অভিযান শুরু না করে।