ঘর হচ্ছে প্রশান্তির জায়গা। সারাদিন বাসায় থাকলে আমরা বেশিরভাগ সময়ই নিজের ঘরে বসে কাটিয়ে দেই। আর যদি দিন শেষে আমরা ঘরে ফিরি তবে নিজের ঘরেই বিশ্রাম নিই।
কিন্তু সেই ঘরটা যদি অগোছালো হয়ে থাকে তাহলে তার প্রভাব আমাদের মনের ওপর পড়ে। মন অশান্ত হয়ে উঠে এমনকি মেজাজটাও খিটখিটে হয়ে থাকে।
তাই চেষ্টা করতে হবে নিজের থাকার ঘরটাকে পরিষ্কার করে গুছিয়ে রাখা। তার জন্য কিছু নিয়ম মেনে চললেই ঘর গুছিয়ে রাখা আরও সহজ হয়ে উঠবে। যেমন- ঘুম থেকে উঠেই বিছানা তোলার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। মাসে একদিন সময় করে ঘরের সিলিং এর ঝুল, ফ্যান, জানলার স্লাইড পরিষ্কার করতে হবে। এছাড়া ঘরকে পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য কিছু টুলস কিংবা সরঞ্জাম ব্যবহার করা যেতে পারে, এতে করে ঘর পরিষ্কার রাখা আরও সহজ হবে।
লন্ড্রি ব্যাগের ব্যবহার:
পরা জামা কাপড়, নোংরা কাপড় কিংবা ন্যাপকিন রাখার জন্যে ঘরে একটি লন্ড্রি ব্যাগ রাখা যেতে পারে। এতে করে না ধোয়া কাপড় এদিক ওদিক পড়ে থেকে ঘর নোংরা হবে না।
হ্যাঙ্গার ও হুক:
অনেকেই ইদানীং জামা কাপড় গুছিয়ে রাখার জন্য হ্যাঙ্গার বা হুক ব্যবহার করে থাকে। দরজার পেছনে বা ঘরের কোনও কোণে হ্যাঙ্গার বা হুক লাগিয়ে নিতে পারেন। এতে করে সহজেই ব্যবহার করা জামা কাপড় ঝুলিয়ে রাখতে পারবেন। এমনকি বাইরের ব্যাগ, জামা, ছাতা এগুলোও ঝুলিয়ে রাখতে পারবেন।
কাগজপত্র রাখার জায়গা:
আমাদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুছিয়ে রাখার জন্য আলাদা একটা বাক্স বা ড্রয়ার ব্যবহার করতে পারি। এতে করে খুব সহজেই খুঁজে পাওয়া যায়। এছাড়া ওষুধ ও অন্যান্য জরুরি জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখার জন্যও আমরা বাক্স ব্যবহার করতে পারি। এতে জিনিসপত্র এদিক ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে না, এমনকি সহজেই হাতের কাছে পাওয়া যায়।
বিছানা:
শোবার ঘরে বিছানাই আসল আসবাব। দিনশেষে ঘরে ঢুকে যদি বিছানা অগোছালো দেখা যায় তাহলেই মন-মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। তাই ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই বিছানা গুছিয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে অন্তত একবার বালিশের কভার, কুশন কভার, বেডকভার, বেডশিট ধুয়ে ফেলতে হবে। এছাড়া, বেডস্ট্যান্ডে কোনও বই বা ল্যাম্প বা শোপিস অথবা পুতুল থাকলে সেগুলো মুছে পরিষ্কার রাখতে হবে, তার জন্য সপ্তাহে একদিন ধুলো মুছে সেগুলো পরিষ্কার করতে হবে।