পরিবেশ আলোকচিত্রী ২০২১: বিজয়ী ও চূড়ান্ত পর্বে আসা ছবির তালিকায় আছেন বাংলাদেশের আলোকচিত্রীরা
এনভায়ারমেন্টাল ফটোগ্রাফার অব দ্য ইয়ার ২০২১ - বর্ষসেরা পরিবেশ আলোকচিত্রী ২০২১ - নির্বাচিত হয়েছেন স্পেনের আলোকচিত্রী আন্তোনিও অ্যারাগন রিনানসিও
রেজিলিয়েন্ট ক্যাটেগরিতে পুরস্কার: “সহনশীলতা” সিরিজের সেরা ছবি হিসাবে পুরস্কৃত হয়েছেন বাংলাদেশের নোয়াখালিতে তোলা আশরাফুল ইসলামের ছবি - সার্ভাইভ ফর অ্যালাইভ (বেঁচে থাকার জন্য)
ট্রিবিউন ডেস্ক
প্রকাশ : ০৭ জানুয়ারি ২০২২, ০৩:০৭ পিএমআপডেট : ১০ মার্চ ২০২২, ০১:৩৯ পিএম
“এনভায়ারমেন্টাল ফটোগ্রাফার অব দ্য ইয়ার” বা বর্ষসেরা পরিবেশ আলোকচিত্র প্রতিযোগিতার ১৪তম বছর। এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে পরিবেশের ওপর বিশ্বের সবচেয়ে উদ্দীপনামূলক ফটোগ্রাফিগুলো তুলে ধরা হয়। এই পুরস্কারের মধ্যে দিয়ে মানুষের বেঁচে থাকার ক্ষমতা, এই লক্ষ্যে তাদের সৃজনশীলতা এবং পাশাপাশি জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন কর্মসূচির লক্ষ্যমাত্রা পূরণে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বানে সাড়া দেবার প্রয়াসকে উৎসাহিত করা হয়।
এনভায়ারমেন্টাল ফটোগ্রাফার অব দ্য ইয়ার ২০২১ - বর্ষসেরা পরিবেশ আলোকচিত্রী ২০২১ - নির্বাচিত হয়েছেন স্পেনের আলোকচিত্রী আন্তোনিও অ্যারাগন রিনানসিও
তার তোলা গানার আফিয়াডেনিইগবা সমুদ্র সৈকতে উপকূলীয় ভাঙনে বিধ্বস্ত একটি বাসাবাড়ির মেঝেতে ঘুমন্ত এক শিশুর ছবি সেরা পরিবেশ আলোকচিত্রের পুরস্কার পেয়েছে। এই ছবির নাম ফটোগ্রাফার দিয়েছেন “দ্য রাইজিং টাইড সান্স” (জোয়ার পানির শিশুপুত্ররা)।
ছবিটিতে পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোতে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ার সমস্যা তুলে ধরা হয়েছে। পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় হাজার হাজার মানুষকে তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে যেতে হয়েছে।
বর্ষসেরা পরিবেশ আলোকচিত্র প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয় স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোয় জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৬ এ।
প্রতিযোগিতায় বিজয়ী অন্যান্য ছবিগুলো হল-
ইয়াং এনভায়ারমেন্টাল ফটোগ্রাফার অব দ্যা ইয়ার: বর্ষসেরা তরুণ পরিবেশ আলোকচিত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন আমান আলী, দিল্লির যমুনা ঘাটে তার তোলা ছবির নাম - “আগুন”।
“ভারতের দিল্লিতে যমুনা নদীর ঘাটে ধেয়ে আসা দাবানল নেভানোর চেষ্টা করছে এক কিশোর।”
রেজিলিয়েন্ট ক্যাটেগরিতে পুরস্কার: “সহনশীলতা” সিরিজের সেরা ছবি হিসাবে পুরস্কৃত হয়েছে বাংলাদেশের নোয়াখালিতে তোলা আশরাফুল ইসলামের ছবি - সার্ভাইভ ফর অ্যালাইভ (বেঁচে থাকার জন্য)। শুষ্ক ফেটে যাওয়া জমিতে ভেড়ার পাল - আকাশ থেকে তোলা।
“শুষ্ক ফেটে যাওয়া জমির ফাঁকে একটু ঘাসের সন্ধানে ভেড়ার পাল। বাংলাদেশে চরম খরার কারণে সব ধরনের প্রাণীর জীবন কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
ক্লাইমেট অ্যাকশন ক্যাটেগরিতে বিজয়ী: ছবির নাম “দ্য লাস্ট ব্রেথ”- তুলেছেন কেনিয়ার নাইরোবিতে কেভিন অনিয়ানগো। এক কিশোরকে দেখা যাচ্ছে উদ্ভিদের সাথে লাগানো অক্সিজেন মুখোশ পরে দাঁড়ানো - তার পেছনে বালুর ঝড়।
“এক কিশোরের পেছনে দেখা যাচ্ছে বালির ঝড় উঠেছে- এর মধ্যে সে নিঃশ্বাসের জন্য অক্সিজেন নিচ্ছে গাছ থেকে। আগামী দিনে যে পরিবর্তন আসছে এই ছবিতে তা নিয়ে রয়েছে শিল্পীর কল্পনা।”
পানি এবং নিরাপত্তা ক্যাটেগরিতে বিজয়ী: সন্দীপনি চট্টেপাধ্যায়- ভারতের পশ্চিমবঙ্গে দামোদর নদের ছবি তুলেছেন তিনি । ছবির নাম - গ্রিন ব্যারিয়ার- সবুজের বাধা। ভারতের দামোদর নদে শ্যাওলার প্রতিবন্ধকতায় ঘেরা একটি নৌকার ছবি - আকাশ থেকে তোলা।
“অস্বাভাবিক বর্ষা মৌসুমে আর খরার কারণে ভারতের দামোদর নদ ভরে উঠেছে শ্যাওলার আস্তরণে। শ্যাওলার বিস্তারের কারণে নদীর জলে আলো ঢুকতে পারে না, ফলে জলের নিচে জলজ জীবগুলো অক্সিজেন শুষে নিতে পারে না। এর প্রভাব পড়ছে এলাকার মানুষের স্বাস্থ্য আর পরিবেশের ওপর।”
এনভায়রমেন্টস অফ দ্যা ফিউচার ক্যাটেগরি: ভবিষ্যতের পরিবেশ বিভাগে বিজয়ী হয়েছেন ইতালির মিশেল লাপিনি। মডেনার নোনানতোলায় পানারো নদীতে তোলা এই ছবির নাম তিনি দিয়েছেন “ফ্লাড”। পো উপত্যকায় বন্যার পানিতে ঘেরা একটি বাড়ির ছবি - আকাশ থেকে তোলা।
“অতিবৃষ্টি আর গলে যাওয়া বরফের পানির ঢলে প্লাবিত পো উপত্যকার পানারো নদীতে ডুবে যাওয়া একটি বসতবাড়ি।”
সাসটেনেবল সিটিস পর্যায়ে বিজয়ী: আইসল্যান্ডের রেইকানেসব্যায়ারএ এই ছবিটি তুলেছেন সিমন ট্রামন্টি। ছবির শিরোনাম - নেট জিরো ট্রানজিশন- ফোটোবায়োরিঅ্যাক্টার (সার্বিক নিগর্মন শূন্যে রূপান্তর - আলোকসংশ্লেষ প্রযুক্তির চুল্লি)। আইসল্যান্ডের রেইকানেসব্যায়ার-এ একটি ফটোবায়ো চুল্লি।
“আইসল্যান্ডের রেইকানেসব্যায়ার-এর আলগালিফ জ্বালানি কেন্দ্রে আলোক সংশ্লেষ প্রযুক্তির একটি জৈব চুল্লি। ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা থেকে পরিবেশ বান্ধব জ্বালানি ব্যবহার করে এই চুল্লি টেকসই অ্যাস্টাজ্যান্থিন উৎপাদন করে। আইসল্যান্ড জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধ করে এখন নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করছে।”
প্রতিযোগিতায় চূড়ান্ত পর্বে আসা কিছু ছবি:
নদীতে মাছ ধরা- ছবিটি তুলেছেন আশরাফুল ইসলাম বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জে। বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জে জাল ফেলে মাছ ধরছেন জেলেরা।
“পুরো নদী ভরে উঠেছে সবুজ শ্যাওলায় - তারই মধ্যে বহু জেলে এখানে আসেন মাছ ধরতে। নদীর পানির নিচে ভরাট সবুজ শ্যাওলা।”
ধূপ কাঠি শুকাচ্ছে- ছবি তুলেছেন ভিয়েতনামের হ্যানয়তে আজিম খান রনি। হাজার হাজার ধূপ কাঠির মাঝে বসে কাজ করছেন কর্মীরা। ভিয়েতনামে হ্যানয়ের একটি গ্রাম কোয়াং ফু সাউ-তে হাজার হাজার ধূপ কাঠি পরিবেষ্টিত হয়ে কাজ করছেন কর্মীরা। এখানে কয়েক শত বছর ধরে প্রথাগত পদ্ধতিতে ধূপ কাঠি তৈরি করা হয়ে আসছে।
“ভিয়েতনামে মানুষের ধর্ম পালনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ধূপ কাঠি।”
প্লাস্টিকে বিপন্ন পরিবেশ- বাংলাদেশের চট্টগ্রামে তোলা সুব্রত দে-র ছবি। চট্টগ্রামে একটি প্লাস্টিক রিসাইক্লিং কারখানায় স্তূপাকার করে রাখা প্লাস্টিক বোতলের মাঝে বসে আছে এক শিশু।
“প্লাস্টিক আবার ব্যবহারযোগ্য করলে তা প্লাস্টিক দূষণ এবং গ্রিনহাউস গ্যাসের নিগর্মন থেকে পরিবেশকে রক্ষা করে।”
“আমি যতক্ষণ সাঁতার কাটছিলাম শাবকটা আমার কাছে কাছে ছিল এবং মনে হচ্ছিল সে আমার কাছে সাহায্য চাইছে।”
নিমোর বাগান- আলোকচিত্রী গিয়াকোমো ডি'অরলান্দো, ইতালি। নিমোর বাগান হল একটি বিকল্প কৃষি পদ্ধতি। যেখানে পরিবেশগত কারণে গাছপালার বৃদ্ধি খুবই কঠিন, সেখানে মূলত এই কৃষি পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।
“জলবায়ুর পরিবর্তনে ক্রমশ আরও চাপের মুখে পড়া আমাদের ভবিষ্যত পরিবেশগত সমস্যা মোকাবেলায় এই পরিবেশ বান্ধব সমাধান ব্যবহার করে পানির নিচে কৃষিকাজের জন্য গড়ে তোলা হয়েছে এই টেকসই প্রকল্প।”
ক্লিন এনার্জি - পরিবেশ বান্ধব জ্বালানি শিরোনামে এই ছবি তুলেছেন পেদ্রো ডি অলিভিয়েরা সিমোস এস্তেভেস, পর্তুগালের সেরা ডি সাও মাকারিও-তে। পর্তুগালের কুয়াশাচ্ছন্ন পাহাড়ি এলাকার পাশে বায়ু চালিত টার্বাইন।
“মেঘলা দিনে পাহাড়ের পেছন দিয়ে সূর্য অস্ত যাবার কয়েক মুহূর্ত আগে বায়ু-চালিত টার্বাইনের ছবি।”
পলিগোনাল ফরেস্ট - স্পেনের সালামাঙ্কার সিয়েরা ডি বেজারে বহুমাত্রিক বর্ণময় এই জঙ্গলের ছবি তুলেছেন রবের্তো বুয়েনো স্পেনের সালামাঙ্কায় জঙ্গলকে বর্ণময় করে রাখার পদ্ধতি - আকাশ থেকে তোলা।
"জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলার একটা মৌলিক পথ হল জঙ্গলকে ভালভাবে বাঁচিয়ে রাখার পদ্ধতি। এটি চেস্টনাট গাছের অরণ্য- জঙ্গল মালিকরা টেকসই পদ্ধতিতে এই অরণ্যকে সজীব রাখেন।
“তারা জঙ্গলের গাছ কাটেন এক বিশেষ পদ্ধতিতে। বিশেষভাবে তৈরি এই এলাকাকে বলা হয় পলিগোনাল এলাকা- সেখানে বড় বড় গাছের ফাঁকে ছোট ছোট জায়গা খালি রাখা হয় স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় বনায়নের জন্য।'”
পরিবেশ আলোকচিত্রী ২০২১: বিজয়ী ও চূড়ান্ত পর্বে আসা ছবির তালিকায় আছেন বাংলাদেশের আলোকচিত্রীরা
এনভায়ারমেন্টাল ফটোগ্রাফার অব দ্য ইয়ার ২০২১ - বর্ষসেরা পরিবেশ আলোকচিত্রী ২০২১ - নির্বাচিত হয়েছেন স্পেনের আলোকচিত্রী আন্তোনিও অ্যারাগন রিনানসিও
“এনভায়ারমেন্টাল ফটোগ্রাফার অব দ্য ইয়ার” বা বর্ষসেরা পরিবেশ আলোকচিত্র প্রতিযোগিতার ১৪তম বছর। এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে পরিবেশের ওপর বিশ্বের সবচেয়ে উদ্দীপনামূলক ফটোগ্রাফিগুলো তুলে ধরা হয়। এই পুরস্কারের মধ্যে দিয়ে মানুষের বেঁচে থাকার ক্ষমতা, এই লক্ষ্যে তাদের সৃজনশীলতা এবং পাশাপাশি জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন কর্মসূচির লক্ষ্যমাত্রা পূরণে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বানে সাড়া দেবার প্রয়াসকে উৎসাহিত করা হয়।
এনভায়ারমেন্টাল ফটোগ্রাফার অব দ্য ইয়ার ২০২১ - বর্ষসেরা পরিবেশ আলোকচিত্রী ২০২১ - নির্বাচিত হয়েছেন স্পেনের আলোকচিত্রী আন্তোনিও অ্যারাগন রিনানসিও
তার তোলা গানার আফিয়াডেনিইগবা সমুদ্র সৈকতে উপকূলীয় ভাঙনে বিধ্বস্ত একটি বাসাবাড়ির মেঝেতে ঘুমন্ত এক শিশুর ছবি সেরা পরিবেশ আলোকচিত্রের পুরস্কার পেয়েছে। এই ছবির নাম ফটোগ্রাফার দিয়েছেন “দ্য রাইজিং টাইড সান্স” (জোয়ার পানির শিশুপুত্ররা)।
ছবিটিতে পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোতে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ার সমস্যা তুলে ধরা হয়েছে। পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় হাজার হাজার মানুষকে তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে যেতে হয়েছে।
বর্ষসেরা পরিবেশ আলোকচিত্র প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয় স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোয় জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৬ এ।
প্রতিযোগিতায় বিজয়ী অন্যান্য ছবিগুলো হল-
ইয়াং এনভায়ারমেন্টাল ফটোগ্রাফার অব দ্যা ইয়ার: বর্ষসেরা তরুণ পরিবেশ আলোকচিত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন আমান আলী, দিল্লির যমুনা ঘাটে তার তোলা ছবির নাম - “আগুন”।
রেজিলিয়েন্ট ক্যাটেগরিতে পুরস্কার: “সহনশীলতা” সিরিজের সেরা ছবি হিসাবে পুরস্কৃত হয়েছে বাংলাদেশের নোয়াখালিতে তোলা আশরাফুল ইসলামের ছবি - সার্ভাইভ ফর অ্যালাইভ (বেঁচে থাকার জন্য)। শুষ্ক ফেটে যাওয়া জমিতে ভেড়ার পাল - আকাশ থেকে তোলা।
ক্লাইমেট অ্যাকশন ক্যাটেগরিতে বিজয়ী: ছবির নাম “দ্য লাস্ট ব্রেথ”- তুলেছেন কেনিয়ার নাইরোবিতে কেভিন অনিয়ানগো। এক কিশোরকে দেখা যাচ্ছে উদ্ভিদের সাথে লাগানো অক্সিজেন মুখোশ পরে দাঁড়ানো - তার পেছনে বালুর ঝড়।
পানি এবং নিরাপত্তা ক্যাটেগরিতে বিজয়ী: সন্দীপনি চট্টেপাধ্যায়- ভারতের পশ্চিমবঙ্গে দামোদর নদের ছবি তুলেছেন তিনি । ছবির নাম - গ্রিন ব্যারিয়ার- সবুজের বাধা। ভারতের দামোদর নদে শ্যাওলার প্রতিবন্ধকতায় ঘেরা একটি নৌকার ছবি - আকাশ থেকে তোলা।
এনভায়রমেন্টস অফ দ্যা ফিউচার ক্যাটেগরি: ভবিষ্যতের পরিবেশ বিভাগে বিজয়ী হয়েছেন ইতালির মিশেল লাপিনি। মডেনার নোনানতোলায় পানারো নদীতে তোলা এই ছবির নাম তিনি দিয়েছেন “ফ্লাড”। পো উপত্যকায় বন্যার পানিতে ঘেরা একটি বাড়ির ছবি - আকাশ থেকে তোলা।
সাসটেনেবল সিটিস পর্যায়ে বিজয়ী: আইসল্যান্ডের রেইকানেসব্যায়ারএ এই ছবিটি তুলেছেন সিমন ট্রামন্টি। ছবির শিরোনাম - নেট জিরো ট্রানজিশন- ফোটোবায়োরিঅ্যাক্টার (সার্বিক নিগর্মন শূন্যে রূপান্তর - আলোকসংশ্লেষ প্রযুক্তির চুল্লি)। আইসল্যান্ডের রেইকানেসব্যায়ার-এ একটি ফটোবায়ো চুল্লি।
প্রতিযোগিতায় চূড়ান্ত পর্বে আসা কিছু ছবি:
নদীতে মাছ ধরা- ছবিটি তুলেছেন আশরাফুল ইসলাম বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জে। বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জে জাল ফেলে মাছ ধরছেন জেলেরা।
ধূপ কাঠি শুকাচ্ছে- ছবি তুলেছেন ভিয়েতনামের হ্যানয়তে আজিম খান রনি। হাজার হাজার ধূপ কাঠির মাঝে বসে কাজ করছেন কর্মীরা। ভিয়েতনামে হ্যানয়ের একটি গ্রাম কোয়াং ফু সাউ-তে হাজার হাজার ধূপ কাঠি পরিবেষ্টিত হয়ে কাজ করছেন কর্মীরা। এখানে কয়েক শত বছর ধরে প্রথাগত পদ্ধতিতে ধূপ কাঠি তৈরি করা হয়ে আসছে।
প্লাস্টিকে বিপন্ন পরিবেশ- বাংলাদেশের চট্টগ্রামে তোলা সুব্রত দে-র ছবি। চট্টগ্রামে একটি প্লাস্টিক রিসাইক্লিং কারখানায় স্তূপাকার করে রাখা প্লাস্টিক বোতলের মাঝে বসে আছে এক শিশু।
হুকড পাপ - বঁড়শিতে গাঁথা শাবক- মেক্সিকোর বাজা ক্যালিফোর্নিয়া এলাকায় করোনাডো দ্বীপে ছবিটি তুলেছেন সিলিয়া কুজালা। মুখে বঁড়শি গাঁথা সিন্ধু ঘোটকের শাবক।
নিমোর বাগান- আলোকচিত্রী গিয়াকোমো ডি'অরলান্দো, ইতালি। নিমোর বাগান হল একটি বিকল্প কৃষি পদ্ধতি। যেখানে পরিবেশগত কারণে গাছপালার বৃদ্ধি খুবই কঠিন, সেখানে মূলত এই কৃষি পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।
ক্লিন এনার্জি - পরিবেশ বান্ধব জ্বালানি শিরোনামে এই ছবি তুলেছেন পেদ্রো ডি অলিভিয়েরা সিমোস এস্তেভেস, পর্তুগালের সেরা ডি সাও মাকারিও-তে। পর্তুগালের কুয়াশাচ্ছন্ন পাহাড়ি এলাকার পাশে বায়ু চালিত টার্বাইন।
পলিগোনাল ফরেস্ট - স্পেনের সালামাঙ্কার সিয়েরা ডি বেজারে বহুমাত্রিক বর্ণময় এই জঙ্গলের ছবি তুলেছেন রবের্তো বুয়েনো স্পেনের সালামাঙ্কায় জঙ্গলকে বর্ণময় করে রাখার পদ্ধতি - আকাশ থেকে তোলা।
"জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলার একটা মৌলিক পথ হল জঙ্গলকে ভালভাবে বাঁচিয়ে রাখার পদ্ধতি। এটি চেস্টনাট গাছের অরণ্য- জঙ্গল মালিকরা টেকসই পদ্ধতিতে এই অরণ্যকে সজীব রাখেন।
বিষয়: