বাংলা একাডেমিতে চলছে সাহিত্যের অন্যতম শীর্ষ আসর ঢাকা লিট ফেস্ট। করোনাভাইরাস মহামারির বাঁধা পেরিয়ে তিন বছর পর গত বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) থেকে শুরু হওয়া ঢাকা লিট ফেস্টের দশম আসর চলবে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত। এবারের আসরে অংশ নিচ্ছেন পাঁচ মহাদেশের পাঁচ শতাধিক বক্তা। চার দিনের এই উৎসবে ১৭৫টির বেশি সেশনে অংশ নিচ্ছেন তারা।
শনিবার (৭ জানুয়ারি) সকাল থেকে তীব্র শীত ও কুয়াশা উপেক্ষা করে বাংলা বিশ্ব সাহিত্যের মেলবন্ধনের এ উৎসবে হাজির হয়েছেন দর্শনার্থীরা।
প্রথম দুই দিনের মতো শনিবারও ঢাকা লিট ফেস্টে রয়েছে নানা আয়োজন। এদিন বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে “কেন্দ্রবিহীন এক বিশ্ব” শিরোনামের একটি সেশনে কথা বলেন ভারতীয় লেখক ও সাহিত্য-সমালোচক অমিতাভ ঘোষ।
সেশনটি সঞ্চালনা করেন ভারতীয় সাংবাদিক, সাহিত্য-সমালোচক, সম্পাদক এবং লেখক নীলাঞ্জন এস রায়। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নোবেল বিজয়ী সাহিত্যিক আব্দুলরাজাক গুরনাহ এবং ভারতীয় প্রবন্ধকার পঙ্কজ মিশ্র।
সেশনের আলোচনায় অংশ নিয়ে নিজের লেখায় সুন্দরবন উঠে আসার প্রসঙ্গে অমিতাভ ঘোষ বলেন, “আমি অনেকটা সময় সুন্দরবনে কাটিয়েছি। আমি খেয়াল করেছি—মার্কিনিরা ভূমি নিয়ে অনেক লেখালেখি করেন। সুন্দরবন আমার মনে এমনভাবে গেঁথে আছে, যে আমি প্রতিনিয়ত লিখে গেছি।”
তিনি আরও বলেন, “আপনি যদি প্রথম অথবা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ভারতের কোনো গ্রামে থেকে থাকেন তাহলে সেই যুদ্ধ আপনাকে নাড়া দিবে না। আজকের ক্রাইসিসের মধ্যে যেটা দেখি তা হচ্ছে শুধু ধ্বংসাত্মক রাজনীতি নয়। যেমন বরিশালের ক্রাইসিস হচ্ছে সেখানের ভূমি হারিয়ে যাচ্ছে। আরও ক্রাইসিস আছে যেগুলা উপেক্ষা করা হচ্ছে। যেমন- ইতালিতে বয়স্ক মানুষদের জন্য অনেক কেয়ারগিভার দরকার। সেখানে অনেক বাংলাদেশি আছে, যারা মূলত ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে সেদেশে প্রবেশ করছে। সাহারার মরুভূমিতে থাকছে, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিচ্ছে। আমি একটি ইতালীয় এক নাগরিককে বলেছিলাম, যদি এডভেঞ্চার কী জিনিস জানতে চাও তোমার কেয়ারগিভারকে জিজ্ঞেস করো। অবিশ্বাস্য একটা বিষয় এবং তাদের সবাই একদম তরুণ অভিবাসী।”
অমিতাভ ঘোষ বলেন, “মার্কিনিরা আগে ইতিহাস, রাজনীতি নিয়ে লেখালেখি বেশি করতো। সেটি এখন অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে। গত কয়েকবছর ধরে দেখছি মার্কিনিরা যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কিংবা তার শাসনামল নিয়ে লিখছে।”