আধুনিক ফ্যাশনের সময়ে নির্ধারিত লিঙ্গের জন্য নির্ধারিত পোশাক ধারণাটি বেশ সমালোচিত হচ্ছে। নিত্যনতুন সৌন্দর্যের খোঁজ করতে গিয়ে একই পোশাকের নানামাত্রিক ব্যবহার করা হচ্ছে।
এই ফ্যাশনই পরিচালনা করছে পোশাকের মতো বিশাল একটা ব্যবসায়ীক খাতকে। মৌলিক অধিকার উৎরে এখন অনেকেই পোশাককে ফ্যাশনের জায়গায় নিয়ে গেছেন।
শাড়ি তেমনি একটি পোশাক। অতীতে এটি শুধু নারীর পরিধেয় হিসেবে বিবেচিত হতো। যদিও বহুকাল আগে থেকে উপমহাদেশের সাধুসন্ন্যাসীরা এই সেলাইহীন পরিধেয়টি পরে আসছেন। তারপরও বিতর্ক থামেনি।
শাড়ি পরার কারণে এর আগে ভারতের বেশ কয়েকজন পুরুষ মডেল সমালোচিত হয়েছেন। তবে এটি সত্য যে সাজের কোনো লিঙ্গভেদ হয় না। সাজই পারে নারী-পুরুষকে একাকার করে দিতে।
শাড়ি এমন এক পোশাক, যা ব্যক্তিত্ব অনুযায়ী আবেদন বাড়িয়ে তোলে। তাই শুধু নারী নয়, হালফ্যাশনে যদি নজর দেওয়া যায়, দেখা যাবে পুরুষও সেজে ওঠে এই বারোহাতি কাপড়টিতে।
ভারতের পোশাকশিল্পী রুদ্র সাহা সম্প্রতি বেনারসির একটি ব্যবহার সামনে নিয়ে এসেছেন। যে বেনারসি কোনো নারী নয়, বরং বাড়িয়ে তুলেছে পুরুষের সৌন্দর্য।
প্রচলিত ধারণার ছক ভেঙে পুরুষরাও যে শাড়ি পরতে পারেন, সেই ভাবনাকেই পৌঁছে দিতে তিনি করেছেন। পোশাকশিল্পী রুদ্র সংবাদমাধ্যমকে জানান, “আমরা চেয়েছিলাম এমন কোনো সাজ তৈরি করতে, যা উৎসবের আগে মানুষের মননে লেগে থাকবে। আশা করি সেটা পেরেছি। নারী বা পুরুষ নয়, শাড়ি হয়ে উঠুক আপামর বাঙালির অহংকার; এ বাংলার অহংকার। বাঙালির হাত ধরেই পৌঁছে যাক বিশ্বের দরবারে।”