কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার পর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সিদ্ধান্ত আমলে নিয়ে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার রাতে ইউজিসির ওই ঘোষণার পর বুধবার (১৭ জুলাই) সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সিন্ডিকেটের সভায় শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ আসতে থাকে।
এদিন সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বুধবার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়তে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ ১৯৭৩-এর আর্টিকেল ২৪(এল) ধারার ক্ষমতাবলে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা এবং একাডেমিক পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
এদিকে এ ঘোষণার পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে একটি “প্রতীকী নোটিশ” দেওয়া হয়েছে। যেখানে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসিক ভবন ছাড়তে বলেছেন।
আর তাদের এই প্রতীকী প্রতিবাদ মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। অসংখ্য মানুষ এই প্রতীকী নোটিশের কপি ফেসবুকে শেয়ার করে শিক্ষার্থীদের এমন অভিনব প্রতিবাদের প্রশংসা করছেন। তবে কে বা কারা এই নোটিশটি তৈরি করেছেন সে বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু জানা যায়নি।
ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ওই নোটিশে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবন, কন্ট্রোলার ভবন, সকল অনুষদ ও ইন্সটিউট এবং ভিসি ভবন বন্ধ রাখার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে থেকে নির্দেশ দেওয়া হলো।
নোটিশে আরও বলা হয়, আজ সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে উপাচার্যকে (ভিসি) তার বাংলো এবং সকল শিক্ষক কর্মকর্তা/ কর্মচারীকে তাদের কোয়ার্টার ত্যাগ করার অনুরোধ করা হলো। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বহাল থাকবে।
নোটিশে আরও বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অরাজকতায় পরোক্ষভাবে নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করা সকল মেরুদণ্ডহীন প্রশাসক, শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদেরকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো।