নাকের স্প্রে নিলেই উন্নতি হবে মানসিক স্বাস্থ্যের, কমবে ডিপ্রেশন বা অবসাদ। এমনই এক স্প্রে তৈরি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান জনসন অ্যান্ড জনসন। বেশ কয়েকবার পরীক্ষার পর স্প্রেটি অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ)।
জনসন অ্যান্ড জনসন জানিয়েছে, নাকের স্প্রে নির্দিষ্ট মাত্রায় নিলে মেজর ডিপ্রেসিভ ডিজঅর্ডার (এমডিডি)-র মতো অসুখ নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মানসিক সমস্যা চট করে সারে না। দীর্ঘকালীন অবসাদ থেকে জন্ম নেয় আরও নানা জটিল মানসিক সমস্যা। অবসাদ বাড়তে থাকলে তা থেকে ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রংশের উপসর্গও দেখা দিতে পারে। আবার অবসাদের কারণে অ্যালজাইমার্সের লক্ষণ দেখা দেওয়াও অসম্ভব কিছু নয়।
এতদিন অবসাদ সারাতে চিকিৎসকেরা নানা রকম কাউন্সেলিংয়ের পাশাপাশি খাওয়ার জন্য ওষুধও দিতেন। এসব ওষুধ দীর্ঘ দিন ধরে খেলে নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিত।
জনসন অ্যান্ড জনসনের ইনোভেটিভ মেডিসিন বিভাগের প্রধান নিউরোলজিস্ট বিল মার্টিন জানিয়েছেন, অবসাদের ওষুধ খেতে থাকলে তার প্রভাব পড়বে হার্ট, লিভার ও কিডনিতে। পাশাপাশি প্রজনন ক্ষমতাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সে কারণেই এমন একটি ন্যাজাল স্প্রে তৈরি করা হয়েছে, যা খুব কম ডোজে নিলেই কাজ হবে। নাকে স্প্রে নেওয়ার পরেই ওষুধ সরাসরি শরীরের নিউরোট্রান্সমিটারগুলোকে সক্রিয় করবে। এর সক্রিয়তা বাড়লে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।
জনসন অ্যান্ড জনসনের সঙ্গে যৌথভাবে ওষুধটি তৈরি করেছেন সেন্ট চার্লস সাইকিয়াট্রিক অ্যাসোসিয়েশনের গবেষকেরা। তারা জানিয়েছেন, অবসাদের পাশাপাশি স্মৃতিভ্রংশ, অ্যালজাইমার্সের মতো রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও নাকের স্প্রেটি ব্যবহার করা হবে। দীর্ঘকালীন অবসাদের কারণে অনেক রোগীরই আত্মহত্যার প্রবণতা দেখা দেয়। তেমন মানসিক পরিস্থিতিতেও ওষুধটি রোগীর উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবে বলেই আশা করা যায়।