Friday, April 18, 2025

সেকশন

English
Dhaka Tribune

প্রতিদিনের যেসব অভ্যাস মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে

বর্তমানে তীব্র প্রতিযোগিতার যুগে মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনেক বেড়েছে

আপডেট : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:৫৪ পিএম

প্রতিদিনের কিছু অভ্যাস আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর খুব খারাপ প্রভাব ফেলে। আপনি যদি প্রতিদিন আপনার রুটিনে এই ছোট ছোট ভুল করতে থাকেন তবে ভবিষ্যতে মানসিক স্বাস্থ্য খারাপ হওয়ার ঝুঁকি বাড়তে পারে।

শারীরিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের দিকেও খেয়াল রাখা সমান জরুরি। বিশেষ করে বর্তমান সময়ে যখন শারীরিক পরিশ্রমের চেয়ে মানসিক চাপ বাড়ে এমন কাজের পরিধি বেশি। এ কারণে মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিষয় যেমন স্ট্রেস, উদ্বেগ এবং হতাশাও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা বেড়েছে।

আমাদের কিছু অভ্যাসও মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতির জন্য দায়ী। যদি এই অভ্যাসগুলো আপনার প্রতিদিনের রুটিনে থাকে, তবে ভবিষ্যতে গুরুতর অসুস্থ্ হয়ে পড়তে পারেন। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আপনার রুটিন থেকে এই অভ্যাসগুলো বাদ দিন।

নিজেকে সময় না দেওয়া

তীব্র প্রতিযোগিতার যুগে আমাদের জীবন খুব ব্যস্ত হয়ে উঠেছে। এই বাস্তবতায় একটু সময় বের করাও বেশ চ্যালেঞ্জিং। প্রতিযোগিতার এই দৌড়ে টিকে থাকতে এখন মানুষ কঠোর পরিশ্রম করে। অনেক সময় অফিস শেষেও কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। সারাদিন কাজে ব্যস্ত থাকা এবং নিজের জন্য সময় বের করতে না পারা আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভালো নয়। প্রতিদিন নিজের জন্য কিছুটা সময় বের করে মন সতেজ রাখা ভালো। এর ফলে, আপনি শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্লান্ত হবেন না। যে কাজ করছেন সেটিও ভালোভাবে শেষ করতে পারবেন।

মানসিক চাপ সামলান

আমাদের সবারই কিছু না কিছু মানসিক চাপ থাকে। একটু স্ট্রেস নেওয়াটা স্বাভাবিক এবং অন্যায় নয়। তবে আপনি যদি প্রায়ই প্রতিটি ছোটখাটো বিষয় নিয়ে টেনশনে থাকেন, তাহলে তা মোটেও ঠিক নয়। সারাক্ষণ সবকিছু নিয়ে চাপে থাকা এবং মনের ওপর অপ্রয়োজনীয় চাপ দেওয়া মানসিক স্বাস্থ্যের উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। আপনি যদি দীর্ঘদিন ধরে এভাবে মানসিক চাপে থাকেন তবে তা  মস্তিষ্ক এবং মানসিক স্বাস্থ্য দু্ইয়ের জন্যই ক্ষতিকর।

পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া

স্বাস্থ্য পরিপূর্ণ ভালো রাখতে হলে প্রতিদিন কমপক্ষে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমান খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি পর্যাপ্ত না ঘুমান তাহলে শারীরিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের উপরও তার প্রভাব পড়বে। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে মস্তিষ্কের কার্যকারিতায় নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। এ ছাড়া দৈনন্দিন উৎপাদনশীলতা ও ফোকাসও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দীর্ঘদিন ধরে এই অভ্যাস চালিয়ে গেলে তা মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা তৈরি করতে পারে।

খাবারের দিকে লক্ষ না রাখা

শারীরিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ডায়েটের দিকে খেয়াল রাখাও সমান জরুরি। পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে। ভালো খাবার মন মেজাজকেও প্রভাবিত করে। তাই ডায়েটে যেন ওমেগা ৩, ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন, জিংক এবং আয়রন থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে। যত বেশি পুষ্টিকর খাবার খাবেন, মানসিক অসুস্থতার ঝুঁকি তত কমবে।

ব্যায়াম না করা

শরীর ও মন সুস্থ রাখতে আপনার রুটিনে কিছু শারীরিক ক্রিয়াকলাপ অন্তর্ভুক্ত করুন। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে যোগব্যায়াম, প্রাণায়াম বা ব্যায়ামের জন্য কিছু সময় বের করুন। বাইরে প্রকৃতির সান্নিধ্যে কিছুটা সময় কাটান। মনের শান্তির জন্য নিজেকে সময় দিন। শারীরিক পরিশ্রম বা ব্যায়াম না করলে মস্তিষ্ক এবং শরীর উভয় স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

   

About

Popular Links

x