পূর্ণিমার রাতে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে নিয়ে পদ্মা সেতু দেখাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, “চিন্তা করেন, আপনার (প্রধানমন্ত্রী) গাড়ি সামনে, পরে খালেদা জিয়ার গাড়ি, আর তার পেছনে তিন তিন মুক্তিযোদ্ধা দাঁড়ায়া থাকবে। আস্তে আস্তে যাবো। এখনও সময় আছে, অন্যদিকে পয়সা খরচ না করে এক পূর্ণিমার রাতে চলেন না যাই! এইটাই হবে বাংলাদেশ। তার আগে মুক্তি দিতে হবে... এনাদেরও (আলেম) নিয়ে যাই।”
রবিবার (৩ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে “হয়রানিমূলক মামলায় রাজবন্দী ও ধর্মীয় নেতাদের দীর্ঘ কারাবাস: নাগরিক সমাজের উদ্বেগ” শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, “হাজি সেলিমকে প্যারোলে মুক্তি দিতে পারেন, কিন্তু খালেদা জিয়াকে পদ্মা সেতু দেখতে দিতে পারেন না।”
বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের সভাপতিত্বে সভার আলোচনায় অংশ নিয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী কারাবন্দি আলেমদের মুক্তির দাবি তোলেন। এ সময় তিনি প্রয়োজনে হাইকোর্ট ঘেরাও করার কথাও বলেন।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, “আপনাদের উপর আমার রাগ আছে। আপনারা এখানে ঘরের মধ্যে বসে মিটিং করেন। আমরা বেশ কয়েকবার বলেছি চলেন না হাজার দশেক লোক নিয়ে হাইকোর্ট ঘেরাও করি। আমার প্রস্তাব হচ্ছে- দুই দিনের মধ্যে তাদের সবার যদি জামিন না হয়, আমরা সবাই ঘেরাও করে থাকবো। ওদের মুক্তি না হলে হাইকোর্টে ঈদের জামাত হবে না। আমরাই ওইখানে মাঠ দখল করে বসে থাকবো।”
তিনি বলেন, “আজকে আমাদের একটা মাত্র দাবি, দুই দিনের মধ্যে সকল আলেম, সকল রাজনৈতিক কর্মী ইনক্লুডিং খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে।”
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, নাগরিক ঐকের মাহমুদুর রহমান মান্না, গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক, এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, বিএফইউজের সভাপতি এম আবদুল্লাহ প্রমুখ।