বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) ওপর থেকে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে ফিফা। ২০১৮ সাল থেকে ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত বিষয়ে ফিফার যে আর্থিক নিষেধাজ্ঞায় ছিল, সেটি তুলে নিয়েছে বৈশ্বিক ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা।
শুক্রবার (৭ মার্চ) বাফুফে এক বিবৃতিতে ফিফার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কথা জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আর্থিক বিষয়ে স্বচ্ছতার কারণে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে ফিফা।
জানা গেছে, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) আয় প্রধানত ফিফার অনুদানের ওপর নির্ভরশীল। তবে ২০১৮ সালে আর্থিক অনিয়মের তালিকায় চলে যায় বাফুফের নাম। যার ফলে আর্থিক অনুদান পেলেও তা নানা নজরদারিতে থাকত, সে অঙ্কটাও খুব বেশি হতো না।
বাফুফে ফিফার আর্থিক অনিয়মের তালিকায় থাকায় ফিফা সাধারণ নিয়মের বাইরে গিয়ে বিশেষ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে ধাপে ধাপে অর্থ ছাড় করত। এটি বাফুফের জন্য এক ধরনের বিব্রতকর পরিস্থিতি ছিল। ফিফার অর্থ ব্যবহারের নির্দেশনা সঠিকভাবে না মানার কারণে এই বাড়তি নিয়ম আরোপ করা হয়েছিল।
এর আগে, ২০১৭ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বাফুফের ক্রয়সংক্রান্ত বিষয়ে অসঙ্গতি ধরা পড়ে ফিফার তদন্তে। ওই তদন্তের জেরে এবং আরও নানা কারণে ২০২৩ সালের এপ্রিলে বাফুফের সেসময়কার সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে নিষিদ্ধ করে ফিফা। ২০২৪ সালের মে মাসে নিষেধাজ্ঞা বাড়িয়ে তিন বছর করে সংস্থাটি।
আর্থিক লেনদেনে অসঙ্গতির কারণে সেসময় বাফুফের চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার আবু হোসেন ও ম্যানেজার (অপরারেশন্স) মিজানুর রহমানকে নিষিদ্ধ করেছিল ফিফা। আর সেসময়কার বাফুফের ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান ও সিনিয়র সহসভাপতি সালাম মুর্শেদিকে করা হয় জরিমানা।
এদিকে বাফুফে জানিয়েছে, নতুন সভাপতি তাবিথ আউয়ালও ফিফার প্রতিনিধি দলের সাম্প্রতিক ঢাকা সফরকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেন। তাদের লক্ষ্য ছিল বাফুফেকে ফিফার আর্থিক অনিয়মের তালিকা থেকে বের করে আনা।
এটি বাফুফের নতুন কমিটির জন্য স্বস্তির খবর। এখন বাফুফে শুধু নিয়মিত অনুদানই পাবে না, বরং ফিফার অন্যান্য উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য আবেদন করার সুযোগও বাড়বে।