দেশি-বিদেশি ক্রিকেটারদের উদ্বেগেয় কাটলো একটা দিন। জাতীয় দলের সাবেক ওপেনার এবং অধিনায়ক তামিম ইকবালের আকস্মিক হার্ট অ্যাটাকের খবর নাড়িয়ে দিয়েছিল পুরো বিশ্ব ক্রিকেটকে। প্রাথমিকভাবে বড় ধরণের জটিলতা থাকলেও ধীরে ধীরে তামিমের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হতে শুরু করে। হার্টে ব্লক ধরা পড়েছিল তার। যে কারণে রিং পরানো হয়েছিল অপারেশনের মাধ্যমে।
সোমবার সারাদিন উৎকণ্ঠায় পার হওয়ার পর মঙ্গলবার সকাল থেকে প্রাপ্ত সব খবরই যেন স্বস্তির। সাভারের কেপেজি হাসপাতালে সকালে বেশ ভালো অনুভব করেছিলেন তামিম। করোনারি কেয়ার ইউনিটেই খানিক হাঁটাহাঁটি করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তবে ডাক্তাররা জানিয়েছেন, এখনো স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে সময় লাগবে তার।
গতকাল (সোমবার) হার্টে রিং পরানোর পর থেকেই তামিমের একটু একটু করে উন্নতি হতে থাকে। রাতে পরিবারের সঙ্গে কথাও বলেছেন। আজ (মঙ্গলবার) সকালে সিসিইউ থেকে অল্প সময়ের জন্য কেবিনে নেওয়া হয় দেশসেরা এই ওপেনারকে। সেখানে পরিবারের সঙ্গে সময়ও কাটিয়েছেন।
তামিম ইকবালের শারীরিক অবস্থার কথা জানিয়ে কেপেজি হাসপাতাল পরিচালক ডা. রাজিব বলেন, ‘‘আপনারা জানেন যে আমাদের সবার প্রিয় তামিম ভাইয়ের একটি কঠিন সময় যাচ্ছে। যে পর্যায়ের ক্রিটিক্যাল পিরিয়ড ছিল আমরা সেখান থেকে একেবারে না হলেও কিছুটা কাটিয়ে উঠেছি। উনি সুস্থ আছেন, খাওয়া-দাওয়া করছেন, কথা বলছেন, ওনার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন, ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলেছেন।”
তিনি আরও বলেন, ‘‘আগামী তিন মাস ওনাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। উনি নিজেই চেকআপে থাকবেন। ওনার হার্ট কি আরও ভালোর দিকে যাচ্ছে, নাকি খারাপের দিকে যাচ্ছে এসব পরীক্ষা নিরীক্ষায় উনি থাকবেন। এরপর ডাক্তাররা তাকে খেলার অনুমতি দিলে তিনি খেলতে পারবেন, তবে এর আগে উনাকে নিয়মের মধ্যেই থাকতে হবে।’’
কবে নাগাদ হাসপাতাল ছাড়তে পারবেন এ বিষয়ে ডাক্তার রাজিব বলেন, “আপনাদের সবার দোয়ায় এবং আল্লাহর রহমতে উনি আমাদের মধ্যে ভালোভাবে আছেন। ইনশাআল্লাহ আমরা উনাকে সুস্থভাবে এখান থেকে ছাড়তে পারব। কখন ছাড়ব সেটা উনাদের পারিবারিক সিদ্ধান্ত। স্যাররা সবকিছু উনাদের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। আমরাও বলেছি। তারপরও উনাদের পারিবারিক সিদ্ধান্তের ওপর শ্রদ্ধা জানিয়ে ওনারা যেভাবে আমাদের বলবেন সেভাবে আমরা সহযোগিতা করব।”