টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে এক জুনিয়র শিক্ষার্থীকে র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছে
লিখিতভাবে এ অভিযোগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রথম বর্ষ ১ম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী মো. তারেক। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে র্যাগিংয়েরে প্রতিকার চেয়ে সংবাদকর্মীদের সহযোগিতা চেয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কার্যালয়ে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান মো. রোকনুজ্জামানের সুপারিশক্রমে লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়া হয়।
লিখিত আবেদনে বলা হয়, গত ২৮ মার্চ রাতে ক্যাম্পাসের নিকটস্থ সন্তোষ আরিফ নগরে অবস্থিত ছাত্রাবাসে দ্বিতীয় বর্ষ ১ম সেমিস্টারের এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এন্ড রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী শামীম, আজমাইন, সেলিম, মাহিন ও রাহাত এবং ফার্মেসী বিভাগের সাফি ও আরও অনেকের দ্বারা র্যাগিংয়ের শিকার হন তারেক। আবেদনে তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ও লেখাপড়া চালানো কঠিন হওয়ায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার গভীর রাতে তারেককে টাঙ্গাইলের সন্তোষ আরিফ নগরে অবস্থিত ছাত্রাবাসের সামনে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে স্থানীয় জনগণ, পুলিশ প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতায় তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে মঙ্গলবার সকালে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আনা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ওপর অমানবিক র্যাগিং এবং শারীরিক, মানসিক অত্যাচার করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষেধ থাকলেও রাতে তারা বিভিন্ন মেসে ডেকে নিয়ে সারারাত চলে র্যাগিং। উল্টা পাল্টা হলে শারীরিক নির্যাতন করা হয়। আমরা অসহায়, বলার কেউ নাই। এছাড়াও কাকে বলবো জানি না। বললে আরও শাস্তি পেতে হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. মীর মো. মোজাম্মেল হক বলেন, “সে অভিযোগ করেছে। অভিযোগের আলোকে আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করবো। অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. ফরহাদ হোসেন বলেন, “কয়েকদিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীণবরন অনুষ্ঠান হয়েছে। আমি প্রতিটি বিভাগে গিয়ে র্যাগিং যাতে না হয় সে বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। এ বিষয়ে কমিটি গঠিত হবে। যদি কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয় তবে তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”