আগামী ১৫ জুন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। শনিবার (৪ জুন) কুসিক নির্বাচনের প্রচারণার নবম দিন।
মেয়র প্রার্থীদের একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রতিশ্রুতি এবং প্রচার-প্রচারণায় জমজমাট হয়ে উঠেছে কুসিক নির্বাচনের মাঠ। শনিবার নির্বাচনমাঠের তিন শক্তিশালী প্রার্থী একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ধরে গণসংযোগ করছেন। তারা আধুনিক নগরী গড়ে তুলতে নানা প্রতিশ্রুতিও দিচ্ছেন।
এদিন নগরীর চকবাজার এলাকায় গণসংযোগ করেন নৌকার প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত।
ব্যবসায়ীদের নিয়ে আয়োজিত উঠান বৈঠকে তিনি বলেন, “নির্বাচিত হলে কুমিল্লাকে একটি মেগাসিটি করব। বেকারত্ব দূর করব। সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র দুর্নীতিগ্রস্ত, তার চারপাশে মাদকাসক্তদের ভিড়।”
অন্যদিকে দুইবারের সাবেক মেয়র ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু গণসংযোগ শুরু করেন গোবিন্দপুর শাকতলা এলাকায়।
নৌকার প্রার্থী রিফাতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, “রিফাত ভাইয়ের যিনি নেতা, তিনি আমারও নেতা। বিগত সময়ে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে আমরা একসঙ্গে কাজ করেছি। সিটি করপোরেশনের অসমাপ্ত উন্নয়ন কাজগুলো সম্পন্ন করতে নগরবাসী আমাকে আবারও নির্বাচিত করবে।”
এ সময় তার কর্মী-সমর্থকদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
কুসিক নির্বাচনের আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে গণসংযোগ করেন।
তিনি বলেন, “করপোরেশনের সাবেক মেয়র (মনিরুল হক সাক্কু) এবং নৌকার প্রার্থীর (আরফানুল হক রিফাত) বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও মাদক পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগ রয়েছে। এসব বিষয়ে তারা একে-অপরের মুখোশ উন্মোচন করেছেন। নগরবাসী তাদের প্রত্যাখ্যান করবেন।”
নির্বাচিত হলে তরুণদের নিয়ে যুগোপযোগী কর্মসূচি নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ১০ জুলাই কুমিল্লা সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি প্রথম ও ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ দ্বিতীয় দফা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আগামী ১৫ জুন তৃতীয়বারের মতো কুসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বর্তমানে কুসিকের ভোটের মাঠে পাঁচজন মেয়র প্রার্থী রয়েছেন। এছাড়া সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৬ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১০৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।