ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং উপকূলে আঘাত হানার পর কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সেন্টমার্টিন দ্বীপে জোয়ারের পানি কমতে শুরু করেছে। আকাশে হালকা রোদের দেখা মিলছে। ফলে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নেওয়া বাসিন্দারা। তবে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে কয়েকশ ঘর-বাড়িসহ মেরিন ড্রাইভের একটি অংশ ভেঙে গেছে।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে অনলাইন সংবাদমাধ্যম বাংলা ট্রিবিউন জানায়, সিত্রাংয়ের আঘাতে সেন্টমার্টিনসহ টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপে বেশি ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। স্বাভাবিকের চেয়ে পানি উচ্চতা ৭-৮ ফুট বৃদ্ধি পাওয়ায় সেন্টমার্টিন-শাহপরীর দ্বীপের বেড়ি বাঁধের ওপর দিয়ে পানি লোকালয়ে ঢুকেছে। জোয়ারের আঘাতে সাবরাংয়ে মেরিন ড্রাইভ সড়কের একটি বড় অংশ বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়া টেকনাফের কয়েকশ ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে।
সেন্টমার্টিন দ্বীপের ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম জানান, স্বাভাবিকের চেয়ে সাগরের পানি ৭-৮ ফুট বেড়ে গিয়েছিল। ফলে দ্বীপের অধিকাংশ এলাকায় পানি প্রবেশ করে। এত পানি দ্বীপবাসী আগে কখনো দেখেনি। মঙ্গলবার সকাল থেকে লোকজন বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছে। দ্বীপে বেশকিছু ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাশাপাশি দ্বীপের চার দিকে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
শাহপরীর দ্বীপের ইউপি সদস্য আবদুস সালাম জানান, জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তার এলাকার নাফ নদের তীরবর্তী শতাধিক ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। এছাড়া দ্বীপের আরও দুটি গ্রামে অর্ধশতাধিক ঘরের টিন-চাল উড়ে যাওয়ার খবর রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেড়িবাঁধও।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ এরফানুলক হক চৌধুরী জানান, সিত্রাং আতঙ্কে গতকাল সেন্টমার্টিনসহ টেকনাফের ১৫ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছিলেন। পানি নেমে যাওয়ায় আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরছেন তারা।
তিনি আরও জানান, ঘূর্ণিঝড়ে সেন্টমার্টিন-শাহপরীর দ্বীপে বেশকিছু ঘরবাড়ি-রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আপাতত শতাধিকের বেশি ঘরবাড়ি ভাঙার খবর পাওয়া গেছে। জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে সব জায়গা থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের তথ্য নেওয়া হচ্ছে।