গণপরিবহনে নারীদের ৩০% আসন ও সড়ক নীতিমালা কার্যকর করার দাবি জানিয়েছে “সেভ দ্য রোড” নামের একটি সংগঠন।
বুধবার (৮ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে এই দাবির কথা জানায় সংগঠনটি।
২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ৩০% নারী আসন সংরক্ষিত রাখার প্রস্তাব করা হলেও সেটি ছোট বাসে ৬টি এবং বড় বাসে ৯টি পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকে।
সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮–এর ৯২(২) ধারা অনুযায়ী, যদি সংরক্ষিত আসনে অন্যকোনো যাত্রী বসেন, তাহলে ১ মাসের কারাদণ্ড অথবা পাঁচ হাজার টাকা জরিমানার বিধান করা হয়েছে। তবে সেটি কার্যকর করা হয় না।
“সেভ দ্য রোড” এর নেতারা অনতিবিলম্বে বাস-ট্রেন-লঞ্চ ও প্লেনে নারীদের জন্য ন্যূনতম ৩০% নারী আসন নিশ্চিতের দাবি জানান।
সংগঠনটির মহাসচিব শান্তা ফারজানা বলেন, “গণপরিবহনে নারী ধর্ষণের যতগুলো ঘটনা ঘটেছে, একটির বিচারও আজ পর্যন্ত সুষ্ঠুভাবে শেষ হয়নি, যে কারণে নির্মম বাস্তবতার মুখোমুখি হচ্ছেন আমাদের মা-বোনেরা।”
নারীদের জন্য বাসে সংরক্ষিত সিট রাখা যৌক্তিক। বর্তমানে বাংলাদেশের নারীশিক্ষা ও কর্মজীবীর হার যেভাবে বেড়েছে, তাতে নারীদের যথাযথ নিরাপত্তার বিষয়টি সবার আগে দেখা দরকার।
গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে চালানো এক জরিপে দেখা গেছে, বাস, লঞ্চ, ট্রেন, অন্যান্য যানবাহন ও টার্মিনালসহ গণপরিবহনে ৩৬% নারী নিয়মিত যৌন হয়রানির শিকার হন। ৫৭% নারী গণপরিবহণকে সবচেয়ে অনিরাপদ বলে মনে করেন। প্রকাশ্যে হয়রানির শিকার ৪৪% নারী কোনো সহযোগিতা পাননি।
সবদিক বিবেচনা করে সংগঠনটি নারীদের জন্য গণপরিবহনে ৩০% আসন সংরক্ষিত রাখার দাবি জানায়।