জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের মাঠে প্রার্থীদের আচরণবিধি মানাতে ও শান্তি-শৃঙ্খলা ঠিক রাখতে আরও ১,৯০৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভোটের আগে-পরে মোট পাঁচ দিন দায়িত্ব পালনের জন্য এসব নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েনের চাহিদা দিয়েছে ইসি।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনের উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান এ সংক্রান্ত চিঠি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে পাঠিয়েছেন।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আচরণ বিধি প্রতিপালন নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি ভোট গ্রহণের দুই দিন আগে থেকে ভোট গ্রহণের দুই দিন পর পর্যন্ত মোট পাঁচ দিনের জন্য নির্বাচনি এলাকার সার্বিক শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ প্রতিরোধের জন্য এবং মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্সের সঙ্গে বিশেষ করে বিজিবি, কোস্টগার্ড ও সশস্ত্র বাহিনীর টিমের সঙ্গে অ্যাক্সিকিউটিভ (নির্বাহী) ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিতকরণের প্রয়োজন হবে।
চিঠিতে আরও বলা হয়ে, আট বিভাগে বর্তমানে এক হাজার ১৬২ জন অ্যাক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত আছেন। এছাড়া আচরণবিধি প্রতিপালনের জন্য মোবাইল কোর্টে নিয়োজিত আছেন ৭৫৪ জন অ্যাক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট। অতিরিক্ত আরও ১,৯০৪ জন অ্যাক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট প্রয়োজন।
সেখানে আরও জানানো হয়, ১,৯০৪ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৩৮৮ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১২৬ জন , চট্টগ্রামে ৩৭৬ জন, সিলেটে ১৪৪ জন, রাজশাহী বিভাগে ২১৯ জন, বরিশাল বিভাগে ১৮৬ জন, খুলনা বিভাগে ১৮৩ জন ও রংপুর বিভাগে ২৮২ জন অতিরিক্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চেয়েছে সংস্থাটি।
চাহিদা অনুযায়ী যাদের পদায়ন করা হবে তাদের দুটি ব্যাচে বিভক্ত করে প্রথম ব্যাচের কর্মকর্তাদের আগামী ৩১ ডিসেম্বর ও দ্বিতীয় ব্যাচের কর্মকর্তাদের আগামী ২ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দের পর এখন চলছে প্রচারণা। যা শেষ হবে আগামী ৫ জানুয়ারি। একদিন বিরতি দিয়ে ৭ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত স্বচ্ছ ব্যালট পেপারের মাধ্যমে চলবে ভোটগ্রহণ।