আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পোষ্য কোটাসহ অন্যান্য অযৌক্তিক কোটা বাতিলের আল্টিমেটাম দিয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১০ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সংবাদ সম্মেলনে এ হুঁশিয়ারি দেন তারা।
এই সময়ের মধ্যে কোটা বাতিল না হলে রেজিস্ট্রার ভবনে তালা দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন শিক্ষার্থীরা।
তারা বলেন, ২৪’র জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পরও বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যমূলক কোটা ব্যবস্থা বহাল রাখা আমাদের জন্য লজ্জাজনক ও অগ্রহণযোগ্য। আমরা স্পষ্ট করে জানাতে চাই, কোটা সংস্কারের নামে বৈষম্যের ধারাবাহিকতা আর চলতে দেওয়া হবে না। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এসব কোটা বাতিল করতে হবে।
এর আগে, দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর একটি স্মারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা। স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, আলোচনা সাপেক্ষে শুধুমাত্র নিম্নলিখিত কোটাগুলো যৌক্তিক বলে বিবেচিত হতে পারে। তা হলো - মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনাদের সন্তানদের কোটা, হরিজন, দলিত, চা শ্রমিক ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কোটা এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের কোটা।
সম্মেলনে বক্তব্য দেন ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী পলাশ বখতিয়ার, গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী হাফিজুল ইসলাম, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াজ হোসেন ও অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম মামুন।
জানা গেছে, প্রতি বছরের মতো এবারও শাবিপ্রবিতে কোটায় সর্বমোট আসন রাখা হয়েছে ১০৫টি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী এ ইউনিটে (বিজ্ঞান শাখা) মোট আসন ৯৮৫টি ও বি ইউনিটে (বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য শাখা) মোট ৫৮১টি আসন রয়েছে। এসব আসন ছাড়াও অতিরিক্ত ১০৫টি কোটা আসন রয়েছে।
এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ২৮ জন, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী/ জাতিসত্ত্বা/ হরিজন-দলিত কোটা ২৮ জন, প্রতিবন্ধী কোটা ১৪ জন, পোষ্য কোটা ২০ জন, চা শ্রমিক কোটা পাঁচজন, খেলোয়াড় কোটা ১০ জন।