ভোলার চরফ্যাশনের শশীভূষণে ঈদের কেনাকাটা করতে এসে বাজারের একটি দোকানে মোবাইলের চার্জ দিতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক কিশোরী।
রবিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে ওই ভুক্তভোগী কিশোরী বাদী হয়ে অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম, দোকান মালিক মো. সুমন ও মো. স্বাধীনসহ তিনজনকে আসামী করে শশীভূষণ থানায় মামলা দায়ের করেন। বিকেলে শশীভূষণ থানা পুলিশ গ্রেপ্তারকৃত রফিকুল ইসলামকে আদালতে সোপর্দ করে।
শনিবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় শশীভূষণ মাছ বাজারের ব্যবসায়ী সুমনের দোকানের পিছনের শয়নকক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তারকৃত রফিকুল ইসলাম এওয়াজপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এবং অপর দুই আসামী সুমন ওই ইউনিয়নের ও স্বাধীন ওই এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশও ভুক্তভোগী মামলার নথিপত্র থেকে জানা যায়, ওই কিশোরী শনিবার বিকেলে ঈদের কেনাকাটা করতে শশীভূষণ বাজারে আসেন। এসময় তার মোবাইল ফোনের চার্জ চলে গেলে ব্যবসায়ী সুমনের দোকানে চার্জ দিতে যান। এসময় সুমন ওই কিশোরীকে তার দোকানের পেছনের শয়নকক্ষে নিয়ে ফোন চার্জ দিতে বলেন। কিশোরী ওইখানে বসেই তার ফোন চার্জ দিচ্ছিলেন। এর কিছুক্ষণ পরেই অভিযুক্ত রফিকুল ও স্বাধীন নামের এক যুবক দোকানের পেছনে যান। অভিযুক্ত রফিকুল তার সঙ্গী স্বাধীনকে পাহারায় রেখে কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। পরে কিশোরীর চিৎকারে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও যুবকরা ছুটে এসে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করেন। এসময় দোকান মালিক সুমন ও স্বাধীন পলিয়ে যান। পরে তারা অভিযুক্ত রফিকুল ইসলামকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
শশীভূষণ থানার ওসি তারিক হাসান রাসেল জানান, এ ঘটনায় ভিক্টিম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত রফিকুল ইসলাম নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেছে। ওই কিশোরীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপর সহযোগী অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।