চিনি আমদানিতে শুল্ক অর্ধেক কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আমদানি করা অপরিশোধিত চিনির ক্ষেত্রে প্রতিটি টনে ১,৫০০ টাকা এবং পরিশোধিত চিনির ক্ষেত্রে প্রতি টনে ৩,০০০ টাকা আমদানি শুল্ক কমানো হয়েছে।
বুধবার (১ নভেম্বর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাস্টমস শাখার এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত অর্ধেক শুল্কে চিনি আমদানি করা যাবে।
আগে অপরিশোধিত চিনি আমদানির ক্ষেত্রে টন প্রতি আমদানি শুল্ক দিতে হতো ৩,০০০ টাকা। আর পরিশোধিত চিনির ক্ষেত্রে টন প্রতি আমদানি শুল্ক ছিল ৬,০০০ টাকা। উভয় ধরনের চিনির আমদানি শুল্ক কমিয়ে অর্ধেক করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, আমদানি শুল্কের পাশাপাশি চিনিতে নিয়ন্ত্রণ মূলক শুল্ক রয়েছে ৩০%। এছাড়া আমদানিকারকদের ১৫% ভ্যাট দিতে হয়। সেই সঙ্গে অগ্রিম আয়কর দিতে হয় ২%।
বর্তমানে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি চিনি ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। সরকারি প্রতিষ্ঠান টিসিবির হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে খুচরা পর্যায়ে চিনির দাম বেড়েছে ২০.৪৫%।
বাংলাদেশে বছরে ১৮ থেকে ২০ লাখ মেট্রিক টন চিনির চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে এক লাখ টনের মতো চিনি দেশে উৎপাদিত হয়। বাকি চিনি ভারত, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা থেকে আমদানি করা হয়।