বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় রিমাল প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। এটি ক্রমেই বাংলাদেশের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। ইতোমধ্যে এর অগ্রভাগের প্রভাব বাংলাদেশের উপকূলে শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি রবিবার (২৬ মে) সন্ধ্যা বা মধ্যরাত নাগাদ মোংলার কাছ দিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়ার উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এদিকে, গত দশক জুড়ে বেশ কয়েকটি ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার কারণে ঘূর্ণিঝড়ের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার ব্যাপারটি এখন অবশ্যম্ভাবী হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি যাতে কম হয়, সেজন্য আগে থেকেই কিছু প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
এছাড়াও, প্রতিবছর ঝড়বৃষ্টির এই মৌসুমে হঠাৎ করেই কালবৈশাখীর তাণ্ডব শুরু হয়ে যায়। এ সময় বাসায় থাকাই সবচেয়ে নিরাপদ। কিন্তু সবসময় তা হয়ে ওঠে না। দৈনন্দিন প্রয়োজনে আমাদের বাইরে যেতেই হয়। অনেক ক্ষেত্রেই তাই বাইরে থাকা অবস্থাতেই ঝড়ের কবলে পড়তে। এই পরিস্থিতিতে নিরাপদ থাকতেও তাই কিছু সতর্ক থাকা প্রয়োজন। চলুন, জেনে নেওয়া যাক সে সম্পর্কে-
বজ্রপাত, ঝড় ও বৃষ্টির সময় রাস্তায় আটকা পড়লে ঘাবড়ে যাবেন না। ঝড়ের সময় দিগ্বিদিক দৌড়াদৌড়ি করবেন না কিংবা দ্রুত বাড়ি ফেরার চেষ্টা করবেন না। ঝড় থামা পর্যন্ত নিরাপদ স্থানে থাকার চেষ্টা করুন।
ভাঙা বা নির্মাণাধীন বাড়ির নিচে দাঁড়াবেন না। পুরনো দেয়ালের পাশেও দাঁড়াবেন না।
ঝড়ে গাছ উপড়ে পড়ার ঝুঁকি থাকে। তাই ঝড়ের সময় গাছের আশেপাশে না থাকাই ভালো। এছাড়া বড় গাছ বিদ্যুৎকে আকর্ষণ করে। ফলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ারও ঝুঁকি থাকে।
ঝড়ে গাড়ি উল্টে যাওয়ার বা গাড়ির ওপর গাছ উপড়ে পড়ার ঝুঁকি থাকে। তাই ঝড়ের সময় গাড়ি চালানো ঝুঁকিপূর্ণূ। সম্ভব হলে নিরাপদ কোনো স্থানে গাড়ি দাঁড় করিয়ে রেখে আপনি নেমে কোথাও আশ্রয় নিন। গাড়ি থেকে নেমে যাওয়া সম্ভব না হলে ভালো করে আটকে রাখুন দরজা-জানালা। এতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার ঝুঁকি কমবে।
বিদ্যুতের তার সম্পর্কে সচেতন থাকুন। অনেক সময় বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে যায় ঝড়ে। এ সময় তাই দেখে শুনে পা ফেলবেন। জমে থাকা পানিতে পা রাখার ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
ঝড়ের সময় ধাতব কাঠামোর ওপর বানানো কোনো ছাউনির নিচে আশ্রয় নেবেন না ঝড়ের সময়। ঝড়বৃষ্টির সময় এ ধরনের ধাতব কাঠামো বিপজ্জনক হয়ে ওঠে।
ঝড় বা বৃষ্টির সময় পুকুর, খাল, নদী বা জলাশয়ে অবস্থান করবেন না। কারণ, এসব জলাশয়ে বজ্রপাত হলে পুরো জলাশয়টি বিদ্যুতায়িত হয়ে পড়ে।