হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি এড়াতে শুধু বাহ্যিক সতর্কতা নয়, খাবারের ক্ষেত্রেও কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হয়। যেমন প্রচণ্ড গরমে শরীর ঠাণ্ডা রাখে এমন শাকসবজি ও ফল খেতে হবে। আর যেসব সবজি হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে পেঁয়াজ।
কাঁচা পেঁয়াজ নানা পুষ্টিগুণে ভরপুর। এর মধ্যে থাকা নানা উপাদান শরীরকে রাখে শীতল। প্রচণ্ড গরমের প্রভাব থেকেও শরীরকে রক্ষা করে। এটি হিটস্ট্রোক ও ডিহাইড্রেশনের মতো সমস্যা থেকেও রক্ষা করে।
পেঁয়াজ গ্রীষ্মের মৌসুমে শরীর ঠাণ্ডা রাখে। কারণ, এতে রয়েছে কুলিং এজেন্ট। এতে থাকা উদ্বায়ী তেল, শরীরের তাপমাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
পেঁয়াজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পানি, তাই এটি শরীরকে গরমে হাইড্রেশনে সাহায্য করে। এছাড়াও, এটি পটাসিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় ইলেক্ট্রোলাইট সরবরাহ করে, যা শরীরে পিএইচ স্তর বজায় রাখে।
পেঁয়াজ ফ্ল্যাভোনয়েড, ফেনোলিক্স এবং ভিটামিন সি-সহ নানা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এই কারণেই প্রচণ্ড গরমেও শরীর ঠাণ্ডা রাখতে পেঁয়াজ কার্যকর। এটি খাওয়া যেতে পারে সালাদ আকারে বা লাঞ্চ-ডিনারে। এছাড়াও সকালের নাশতার সঙ্গেও কাঁচা পেঁয়াজ ব্যবহার করতে পারেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পেঁয়াজের রস পানির সঙ্গে মিশিয়ে পান করলেও একই রকম কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়ার মতোই উপকারিতা পাওয়া যায়। যেকোনো বয়সের যেকেউ এভাবে খেতে পারেন পেঁয়াজর রস। তবে দীর্ঘস্থায়ী কোনো রোগে ভুগলে এভাবে পেঁয়াজের রস খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। যদি হোমিওপ্যাথিক ওষুধ খান সেক্ষেত্রেও চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা আবশ্যক।