Thursday, March 20, 2025

সেকশন

English
Dhaka Tribune

ইকুয়েডরে কারাগারে সংঘর্ষে নিহত ১২

দেশটির অন্যতম বিপজ্জনক গুয়াকিল শহরের কারাগারে দুটি অপরাধী গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে

আপডেট : ১৬ এপ্রিল ২০২৩, ০৮:১২ পিএম

দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরের একটি কারাগারে ভয়াবহ সংঘর্ষে অন্তত ১২ জন বন্দি নিহত হয়েছেন।

স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) দেশটির অন্যতম বিপজ্জনক গুয়াকিল শহরের কারাগারে দুটি অপরাধী গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।

নিহতদের সবাই ওই কারাগারের বন্দি ছিলেন।

এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

২০২১ সাল থেকে কারাগারের দাঙ্গায় জর্জরিত ইকুয়েডর। যার ফলে শতাধিক বন্দির মৃত্যু হয়েছে দেশটিতে। যদিও সরকার এসব সংঘর্ষ ও প্রাণহানির জন্য লড়াইরত মাদক চক্রগুলোর মধ্যে সংঘর্ষকে দায়ী করে থাকে।

এসএনএআই সাংবাদিকদের জানায়, প্রযুক্তি ব্যবহার করে কারাগারে ১২ জনের মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। প্রসিকিউটর অফিস ও পুলিশ মরদেহ শনাক্ত করার জন্য কারাগারে রয়েছে।

গত বছর জাতিসংঘের একটি প্রতিনিধি দল জানায়, ইকুয়েডরের কারাগারে সহিংসতার কারণ হলো অপরাধীদের শাস্তি ব্যবস্থার প্রতি রাষ্ট্রীয় অবহেলা।

ইকুয়েডরে ক্রমবর্ধমান এসব সহিংসতা মোকাবিলায় লড়াই করে যাচ্ছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট গুইলারমো ল্যাসো। এ রক্ষণশীল নেতা দুর্নীতির অভিযোগে অভিশংসনের শুনানিরও মুখোমুখি হয়েছেন। যদিও এসব অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেছেন।

গুয়াকিলের কারাগারের বাইরে তিন নারী কারা কর্মীকে হত্যার পর শুক্রবারের এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।

এ সপ্তাহে এসএনএআই আরও জানায়, লা পেনিটেনসিয়ারিয়ার একটি ওয়ার্ডে ছয় বন্দিকে ফাঁসিতে ঝুলানো অবস্থায় পাওয়া গেছে।

ইকুয়েডরে কারাগারে দাঙ্গা ও হতাহতের ঘটনা খুব সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। মাদক বিশেষত কোকেনের চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নিয়মিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সদস্যদের গ্রেপ্তার করছে পুলিশ। এসব গোষ্ঠীর সদস্যরাই প্রাণঘাতী সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ে।

তাই এসব সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে প্রেসিডেন্ট লাসো কারাগারে নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি বাড়িয়েছে এবং বারবার কারাগারে জরুরি অবস্থাও ঘোষণা করে থাকে।

শুক্রবার সংঘর্ষের পরে ইকুয়েডরের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হুয়ান জাপাতা বলেন, “আমরা বাস্তবতা এবং সত্যকে অস্বীকার করি না যে আমরা দেশে সহিংসতার সবচেয়ে খারাপ মুহুর্তে আছি।” 

এ ঘটনার পরে ৬,৮০০ বন্দি থাকা ওই কারাগারের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে পুলিশ ও সেনাবাহিনী।

২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে গুয়াস-১ ও পেনটেনশিয়ারিতে প্রায় ১২০ বন্দীকে হত্যা করা হয়েছিল।

২০২২ সালে কারাগারে পরিচালিত একটি আদমশুমারি অনুসারে, ইকুয়েডরের ৩৬ টি কারাগারে প্রায় ৩১,০০০ বন্দী রয়েছে।

   

About

Popular Links

x