ভোটারকে ঘুষি মারার দায়ে যুক্তরাজ্যে এক এমপিকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত ওই স্বতন্ত্র এমপির নাম মাইক অ্যামসবারি। তর্ক-বিতর্কের একপর্যায়ে রাস্তায় একজন ভোটারকে ঘুষি মেরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগে তাকে ১০ সপ্তাহের কারাদণ্ড দেন আদালত। শুনানি শেষে সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) জেলা বিচারক ট্যান ইকরাম এ আদেশ দেন।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিযুক্ত ওই এমপির নাম মাইক অ্যামসবারি। সামাজিক যোযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, মাইক একজন ভোটারের সঙ্গে তর্ক করছেন। এক পর্যায়ে, উত্তেজিত হয়ে ভোটারকে ঘুষি মেরে বসেন। মাইকের চেশায়ার নির্বাচনী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এরপর অভিযুক্ত এমপি ঘুসি মারার কথা স্বীকার করার পর তাকে ১০ সপ্তাহের জন্য কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গত বছরের ২৬ অক্টোবর চেশায়ারের ফ্রডশামে এই ঘটনা ঘটে। মাইক অ্যামসবারি পল ফেলোসের নামের ওই ব্যক্তির সঙ্গে উত্তপ্ত তর্ক-বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং নির্বাচনে ভোট না দেওয়ার অভিযোগে একপর্যায়ে তাকে ঘুষি মারেন। এ নিয়ে একটি ভিডিও ফুটেজও সেসময় সামাজিক যোযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।
ঘটনার পরে রানকর্ন এবং হেলসবিকের এই এমপিকে দল থেকে বহিষ্কার করে ক্ষমতাসীন লেবার পার্টি। বর্তমানে ৫৫ বছর বয়সী মাইক দেশটির রানকর্ন এবং হেলসবিকের স্বতন্ত্র এমপি হিসেবে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ভুক্তভোগী ওই ব্যক্তি আদালতে মামলা দায়ের করেন। ৫৫ বছর বয়সী আমেসবারি আদালতে তার কর্মকাণ্ডের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং ঘটনাটিকে অত্যন্ত দুঃখজনক বলেও বর্ণনা করেন। শুনানি শেষে সোমবার জেলা বিচারক ট্যান ইকরাম আমেসবারিকে ১০ সপ্তাহের কারাদণ্ড দেন।
চেস্টার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ডেপুটি চিফ ম্যাজিস্ট্রেট ট্যান ইকরাম বলেন, “ক্রোধ এবং মানসিক নিয়ন্ত্রণ হারানোর ফলে অ্যামেসবারি এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন। মাথায় একটি ঘুষি মারার ওই ব্যক্তি আহত হয়েছেন। আমি লক্ষ্য করেছি, আপনি (আমেসবারি) ফেলোসকে মাটিতে থাকা অবস্থায়ও ঘুষি মারতে থাকেন এবং ফেলোস চিৎকার করছিলেন। আমি এটিকে আরও অপরাধ মনে করি।”
সাজা ঘোষণার পর আমেসবারিকে তৎক্ষণাৎ সেলে নিয়ে যাওয়া হয় এবং জামিনের আবেদনও প্রত্যাখ্যান করা হয়।