“পৃথিবীর পুরনো পথের রেখা হয়ে যায় ক্ষয়, প্রেম ধীরে মুছে যায়. . . . ” সত্যিই কি প্রেম ধীরে ধীরে মুছে যায়? কিংবা ফিকে হয়ে যায় প্রেমের রং? একসময় যাকে পাওয়ার দুর্ণিবার আকাঙ্ক্ষা কাজ করতো, পেয়ে যাওয়ার অনেকদিন পর কি কমে যায় তার প্রতি টান?
এসব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া কঠিন। কারণ, পৃথিবীতে সবচেয়ে বিচিত্র বোধহয় মানুষের মন। এই মনে থাকে অসংখ্য গলি, যার থৈ মানুষ নিজেই হয়তো খুঁজে পায় না। আর ভালোবাসা তো সংজ্ঞাহীন এক অনন্য অনুভূতি।
তবে, এ কথাও সত্যি যে একটা সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরে বহন করা সহজ কথা নয়। প্রেমের প্রাথমিক ঘোর কেটে যাওয়ার পর বাস্তবের মাটিতে যখন দাঁড়ায় কোনো দম্পতি, তখন তারা বুঝতে পারেন জীবনটা পুরোপুরি রূপকথা নয়। গোলাপের রং আর সুগন্ধ সেখানে যেমন আছে, তেমনি কাঁটার জ্বালা, পাথরের অমসৃণতাও রয়েছে পুরোদমে। এরকম একটা পরিস্থিতিতে এতোদিনের ভালো লাগা বিষয়গুলো আর ততটা ভালো নাও লাগতে পারে। এমনকি, যে মানুষটাকে ঘিরে স্বপ্নের জাল বুনেছিলেন, তাকেও আর ততটা ভালো না লাগা অস্বাভাবিক নয়।
এমন পরিস্থিতিতে ঝালিয়ে নিতে পারেন নিজেদের সম্পর্ককে। আর সেটি শুরু করতে পারেন এই ভালোবাসা দিবস থেকেই।
কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন
নিজেকে জিজ্ঞেস করুন, কেন এরকম মনে হচ্ছে আপনার। আপনাদের সম্পর্কে কি সত্যিই কোনো সমস্যা দেখা দিয়েছে? নাকি শুধু একঘেয়েমি থেকেই এ সম্পর্কটা আর পছন্দ হচ্ছে না আপনার? সম্পর্কের পুরোনো উত্তাপটা কি আবার ফিরিয়ে আনা সম্ভব? নাকি আর কোনো আশাই নেই? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেলে দেখবেন সমাধানের পথও পেয়ে গেছেন।
সঙ্গীর সঙ্গে কথা বলুন
যেকোনো সমস্যা সমাধানের জন্য মন খুলে কথা বলা একটা পদ্ধতি হতে পারে। পরস্পরের মধ্যে যদি ভুল বোঝাবুঝি বা নেগেটিভ মানসিকতা দানা বেঁধে থাকে, তা সরানোর সবচেয়ে ভালো উপায় হল কোনো দ্বিধা বা সংশয় না রেখে খোলামেলা কথা বলা।
শখের চর্চা করুন
দু'জনে মিলে কোনো একটা শখের চর্চা করলে সম্পর্কে দূরত্ব কমে যেতে পারে। গান শোনা, বাগান করা, বেড়াতে যাওয়া, যেকোনো শখ হলেই হবে। এমনকী, গবেষণাতেও দেখা গেছে সম্পর্ক ভালো রাখতে শখের একটা বড়ো ভূমিকা রয়েছে।
একসঙ্গে বেড়াতে যান
কোনো একটা নতুন জায়গা দেখার মধ্যে দিয়ে দম্পতিরা পরস্পরকে নতুনভাবে আবিষ্কার করতে পারেন। কাজেই বেরিয়ে পড়ুন। হয়তো নতুন জায়গায় গিয়েই খুঁজে পাবেন আপনাদের হারিয়ে যাওয়া রোমান্সকে। যেতে পারেন নিজেদের পুরোনো স্মৃতিবিজরতি কোনো স্থানেও।