শীতকালে কাশি কিংবা অন্যান্য শারীরিক সমস্যা হলে মধুর বিকল্প নেই বলে ভাবেন অনেকেই। আবার সামজিক যোগাযোগমাধ্যমে মধুর গুণাগুণ নিয়ে প্রচারের শেষ নেই। এর ফলে মধুর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। মধু যে বেশ উপকারি সে বিষয়ে অবশ্য বিশেষজ্ঞদের কোনো দ্বিমত নেই। কিন্তু তারা বলছেন, মধু নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় যা প্রচার হয়–তা অধিকাংশ ক্ষেত্রে অতিরঞ্জিত। আর তা থেকেই ভ্রান্ত ধারণা তৈরি হচ্ছে আমাদের মধ্যে।
মধুর উপকারিতা নিয়ে যেসব ভুল ধারনা চালু আছে
১. কেউ কেউ মনে করেন কৌটা বা জারের মধুর তুলনায় সদ্য মৌচাক থেকে পাওয়া মধুর গুণ অনেক বেশি। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন শোনা যায় ঠিক। তবে গবেষণায় এমন কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যায়নি। তাই এই ভ্রান্ত ধারণা থেকে বেরিয়ে আসাই ভালো। সব ধরনের মধুরই উপকারিতা প্রায় একই।
২. অনেকেই ভাবেন, মধু নাকি মৌসুমী অ্যালার্জি সারাতে পারে। আর এর জেরে হওয়া জ্বরের উপশম হিসেবেও মধুর কোনো বিকল্প নেই। বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলছেন, মধু মৌসুমী অ্যালার্জি সারাতে পারে এমন কোনো প্রামাণ্য তথ্য নেই। এটি নিছকই ভ্রান্ত ধারণা।
৩. অতিরিক্ত চিনি শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর। তাই অনেকে চিনির বদলে মধু খাওয়ার কথা বলেন। কারও কারও ধারণা, মধু খাবারে মেশালে মিষ্টি স্বাদ পাওয়া যাবে অথচ কোনো ক্ষতি হবে না। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিনি শরীরের ক্ষতি করে আর মধু করে না, সেরকম কোনো প্রামাণ্য তথ্য নেই। তাই বেশি চিনি খাওয়া যেমন অনুচিত, তেমনই আবার অতিরিক্ত মধুও শরীরের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে।
৫. দূষণের ফলে আমাদের শারীরিক নানা রকম ক্ষতি হয়। অনেকেই মনে করেন, শরীরে থাকা দূষিত টক্সিন বের করার ক্ষেত্রে মধুর নাকি ভূমিকা রয়েছে। তাই গরম চায়ে মধু মিশিয়ে খান অনেকেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, চায়ে মধু মিশিয়ে পান করতেই পারেন। তবে তা শরীরকে টক্সিন মুক্ত করতে আদতে কতটা কাজ দেয় সে বিষয়ে কোনো তথ্য গবেষণায় পাওয়া যায়নি।