Saturday, April 26, 2025

সেকশন

English
Dhaka Tribune

হঠাৎ হার্ট অ্যাটাকে করণীয়

উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, ধূমপান, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, মানসিক চাপসহ নানা কারণে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে

আপডেট : ২৫ মার্চ ২০২৫, ০৫:৩৬ পিএম

হার্ট অ্যাটাকে আকস্মিক মৃত্যুর খবর আশপাশে প্রায়ই শোনা যায়। হঠাৎ হৃদ্‌যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হওয়াকে বলা হয় হার্ট অ্যাটাক। উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, ধূমপান, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, মানসিক চাপসহ নানা কারণে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে।

বিশষজ্ঞদের মতে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাকের আগে শরীর সংকেত পাঠায়। প্রথমে বুকে অল্প ব্যথার সঙ্গে অস্বস্তি থাকে। বেশির ভাগ সময় হার্ট অ্যাটাকে বুকের মাঝখানে চাপ বোধ হয়। কয়েক মিনিট ধরে ব্যথা থাকে। মাঝেমাঝে ব্যথা চলে যায় আবার ফিরে আসে। একটা অস্বস্তিকর চাপ ও ঝাঁকুনি অনুভূত হয়। অনেক সময় পিঠ, ঘাড়, চোয়াল ও পাকস্থলীতেও অস্বস্তি হয়। বুকে অস্বস্তির সঙ্গে শ্বাস ছোট হয়ে আসে। ঘাম দিয়ে শরীর ঠান্ডা হয়ে যাওয়া ও বমি ভাব হতে পারে। মূলত হার্ট যখন অপর্যাপ্ত ও অনিয়মিতভাবে রক্ত সঞ্চালন করে, তখনই হার্ট অ্যাটাক হয়। তবে উপসর্গ বুঝে দ্রুত পদক্ষেপ নিলে বড় ক্ষতি এড়ানো যায়।

হার্ট অ্যাটাকে করণীয়

বুকে ব্যথা অনুভূত হলে, হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ মনে হলে যত দ্রুত সম্ভব রোগীকে হাসপাতালে, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে। প্রয়োজনে জরুরি স্বাস্থ্য সেবায় (৯৯৯) ফোন করতে পারেন।

আক্রান্ত ব্যক্তি যেন বেশি নড়াচড়া না করেন, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। শান্ত থেকে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। রোগী যদি জ্ঞান হারায় বা শ্বাস নিচ্ছে না এমন হলে সঠিক নিয়মে কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন বা সিপিআর দিতে হবে। এক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে সিপিআর কীভাবে দিতে হয় সেটি জানেন এমন কোনো ব্যক্তি ছাড়া না জেনে যে কেউ সিপিআর দিতে পারবেন না।

কারো যদি আগে থেকে হার্টের সমস্যায় নাইট্রোগ্লিসারিন জাতীয় ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসক, তাদের তাৎক্ষণিক অবস্থায় জিহ্বার নিচে ওই ওষুধ দেওয়া যেতে পারে। অন্যদের বেলায় দেওয়া যাবে না।

হার্ট অ্যাটাক হলে পালস রেট কমে যায়। এ সময় কাশি দিলে রিফ্লেক্স হয়, যার ফলে প্রেশার বাড়ে এবং হার্ট রেটও বেড়ে যায়। সেজন্য কাশি দিতে বলা যেতে পারে রোগীকে। দ্রুত জোরে ও ঘন ঘন কাশি দেবেন, যেন কাশির সঙ্গে কফ বের হয়ে আসে। প্রতিবার কাশি দেওয়ার আগে দীর্ঘশ্বাস নিন। এভাবে ঘন ঘন কাশি ও দীর্ঘশ্বাস—প্রতি দুই মিনিট পরপর করতে থাকুন। এতে করে হৃৎপিণ্ড কিছুটা হলেও নিয়মিতভাবে রক্ত সঞ্চালন করবে। হাসপাতালে নেওয়ার আগে এটি রোগীকে সাপোর্ট দেবে অনেকখানি। দীর্ঘশ্বাসের ফলে আমাদের শরীরে অক্সিজেন পরিবহন বেশি হয় এবং ঘন ঘন কাশি দেওয়ার ফলে বুকে যে চাপের সৃষ্টি হয়, তাতে হার্ট পর্যাপ্ত ও নিয়মিতভাবে রক্ত সঞ্চালনের জন্য প্রস্তুত হয়।

   

About

Popular Links

x