মানসিক রোগ হিসেবে সিজোফ্রেনিয়া এবং বাইপোলার ডিসঅর্ডারের মতো রোগই বেশি পরিচিত। কিন্তু এর বাইরেও কিছু মানসিক রোগ আছে, যেগুলো বিরল হওয়ার সে সম্পর্কে মানুষ কমই জানে।
তেমনই এক বিরল মানসিক রোগের নাম কোটার্ড সিনড্রোম। কোটার্ড সিনড্রোম আক্রান্ত মানুষকে জীবন্মৃত বা ওয়াকিং ডেড সিনড্রোম আক্রান্ত বলে বর্ণনা করা হয়।
এ রোগে আক্রান্ত মানুষরা বিশ্বাস করে যে তারা মৃত এবং তাদের কোনো অস্তিত্ব নেই। অনেকে আবার মনে করে যে তার দেহের কোনো একটি অংশ সক্রিয় নেই। এই সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তি নিজেদের অস্তিত্বকে অবিশ্বাস করে। তার ধারণা, তিনি জীবন্মৃত। নিজের আত্মা তাকে অনেক আগেই ছেড়ে চলে গেছে।
এই রোগের নামকরণ করা হয়েছে ঊনিশ শতকের ফরাসি স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ জুলস কোটার্ড এর নামানুসারে। তিনি ১৮৮২ সালে প্রথম এই রোগের উপসর্গ বিষয়ে ধারণা দেন।
সিজোফ্রেনিয়া, বিষণ্ণতা এবং বাইপোলার ডিসঅর্ডারে ভোগা রোগীদের মধ্যে এই মানসিক উপসর্গ দেখা দেওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে।
এছাড়া ভাইরাস প্রতিরোধী ওষুধ অ্যাসিক্লোভিরের বিরল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াতেও এ রোগের উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
মস্তিস্কের যে অংশের সাহায্যে মানুষ চেহারা শনাক্ত করে এবং যে অংশ আবেগীয় বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত- এই দুই অংশের মধ্যকার সংযোগ বিচ্ছিন্নতা ঘটলে তার কারণে এই উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানান, বিরল এই উপসর্গের ক্ষেত্রে বিষণ্নতা প্রতিরোধী চিকিৎসা, মানসিক রোগের চিকিৎসা এবং মেজাজ স্থিতিশীল রাখার চিকিৎসা কার্যকর। এছাড়া ইলেক্ট্রোকনভালসিভ থেরাপিও কাজ করে।