Wednesday, July 09, 2025

সেকশন

English
Dhaka Tribune

আমের মতো আঁটিতেও রয়েছে ভরপুর পুষ্টিগুণ

এসব গুণের কথা জানলে আপনি আম খেয়ে আঁটি ফেলে দেবেন না

আপডেট : ০৫ জুলাই ২০২৫, ০৪:৫৭ পিএম

গ্রীষ্মকাল দেশি ফলের ভরা মৌসুম। ইতোমধ্যেই বাজারে এসে গেছে নানা ধরনের দেশীয় ফল। আর যেসব ফল এই মুহূর্তে চাহিদার শীর্ষে রয়েছে তার মধ্যে আম অন্যতম।

আমকে বলা হয় ফলের রাজা। অনন্য স্বাদের পাশাপাশি পুষ্টিগুণেও আম বেশ সমৃদ্ধ ফল।

সাধারণত খোসা ছাড়িয়ে আমের মাংসালো অংশ খাওয়ার পর আমের আঁটি ফেলে দেওয়া হয়। অধিকাংশ মানুষের ধারণা, নতুন গাছের চারা বানানো ছাড়া আমের আঁটি কোনো কাজে লাগে না। তবে বাস্তবতা হলো, আমের মতো আঁটিতেও রয়েছে ভরপুর পুষ্টিগুণ।

আমের আঁটিতে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, ই, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, কপার, ফলেটের মতো উপকারী উপাদান। এছাড়াও আমের আঁটিতে রয়েছে ম্যাঞ্জিফেরিন নামক অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, যা ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে বলে বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে। আমের আঁটিতে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স খুবই কম থাকায় ডায়াবিটিসে আক্রান্তরা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে খেতে পারেন আঁটি। তবে, এক্ষেত্রে অবশ্যই আগে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিতে হবে।

আমের আঁটি খুশকির সমস্যা সমাধানেও বেশ কার্যকরী। আমের আঁটি শুকিয়ে গুঁড়ো করে মাথার তেলের সঙ্গে মিশিয়ে তা চুলে লাগালে খুশকি দূর হয়। খুশকি ছাড়াও চুল ওঠার সমস্যা দূর করতেও ব্যবহার করতে পারেন আমের আঁটির গুঁড়ো।

শরীরের বাড়তি মেদ কমাতেও দারুণ কার্যকরী আমের আঁটি। আমের আঁটির গুঁড়ো গরম পানিতে মিশিয়ে খেলে উপকার পাবেন। কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতেও সাহায্য করে এই আমের আঁটি। গরম দুধে আঁটির গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা থাকবে নিয়ন্ত্রণে।

এছাড়া, আমের আঁটি থেকে ভোজ্যতেলও উৎপাদন করা যায়। গবেষকরা বলছেন, সঠিক পরিকল্পনা করলে দেশের বাৎসরিক ভোজ্যতেলের মোট চাহিদার ৪% মেটানো সম্ভব।

   
Banner

About

Popular Links

x