“মানসিক ভারসাম্যহীন” দাবি করে একদল লোককে নিয়ে টাঙ্গাইলে সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলামের বাড়িতে উঠেছেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তৎকালীন সমন্বয়ক মারইয়াম মুকাদ্দাস মিষ্টি।
শনিবার (৮ মার্চ) সকালে টাঙ্গাইল সদরের ছোট কালিবাড়ি এলাকায় অবস্থিত বাড়িটির প্রধান ফটকের তালা ভেঙে কমপক্ষে ২০ জন ব্যক্তিকে নিয়ে সেখানে প্রবেশ করেন মিষ্টি। ওই ব্যক্তিরা সবাই মানসিক ভারসাম্যহীন বলে দাবি করেছেন মিষ্টি। বাড়িটিতে মানসিক ভারসম্যহীনদের জন্য আশ্রম তৈরি করেবন বলেও দাবি তার।
এ বিষয়ে মারইয়াম মুকাদ্দাস মিষ্টি ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, “ফেসবুকে পূর্বঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। আওয়ামী লীগের সব নেতাদের বাড়িতে পাগলদের আশ্রম গড়ে তোলা হবে। তাই আজ সকালে এসে তালা ভেঙে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলামের বাসায় প্রবেশ করেছি। এখানে আল মুকাদ্দাস ফাউন্ডেশনের ২০ জন পাগলদের রাখা হয়েছে।”
উল্লেখ্য, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের ২০১৮ সালে টাঙ্গাইল ৮ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বা চিত হয়েছিলেন। গত ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন। গত ৬ ফেব্রয়ারি বাড়িটিতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। তারপর থেকে বাড়িটিতে আর কোনো লোক দেখা যায়নি। তবে প্রধান ফটকে তালা দেওয়া ছিল।
সেই সময়ের ঘটনা উল্লেখ করে মারইয়াম মুকাদ্দাস মিষ্টি বলেন, “জেয়াহেরুল ইসলামের পক্ষ থেকে একজন লোক এসে বাড়িটি না ভেঙে আশ্রমের বানানোর প্রস্তাব দিয়েছিল। এখানে সেই আশ্রমই করা হয়েছে।”
তবে কোন ব্যক্তি এমন প্রস্তাব দিয়েছিলেন তার নাম জানাতে পারেননি মিষ্টি।
এদিকে, জুলাই আন্দোলন চলাকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সমন্বয়ক হিসেবে মিষ্টির নাম থাকলেও গতবছরের ২২ অক্টোবর কেন্দ্রীয়ভাবে সারাদেশের সমন্বয়ক টিম বিলুপ্ত করা হয়। পরে টাঙ্গাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যে কমিটি গঠন করা হয়েছে সেখানে জায়গা হয়নি মারইয়াম মুকাদ্দাস মিষ্টির। তিনি নিজেকে বর্তমানে ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে দাবি করেছেন।
অন্যদিকে, আন্দোলনকালীন সমন্বয়ক টিমে থাকা কারো কোনো কর্মকাণ্ডের দায়ভার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বর্তমান কমিটির নেবে না বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ।
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা শাখার যুগ্ম সদস্য সচিব সেজান আহমেদ বলেন, “তার এমন দায়ভার সংগঠন বহন করবে না। বর্তমানে তিনি আমাদের কমিটির সদস্য নন।”