বরিশালে জাতীয় পার্টি (জাপা) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর ও মারধরের ঘটনায় গণঅধিকার পরিষদ সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর-রাশেদসহ দলটির শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) আদালত মামলাটি এজাহারভুক্ত করতে বরিশাল কোতোয়ারি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জাপার বরিশাল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও মামলার আইনজীবী আব্দুল জলিল।
মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি নুরুল হক নূরকে। এছাড়াও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, বরিশাল জেলা সভাপতি এইচএম শামীম রেজা ও সাধারণ সম্পাদক এইচ এম হাসান, মহানগরের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেনসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের ২৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা ৭০-৮০ জনকেও আসামি করা হয়েছে।
বাদি পক্ষের আইনজীবী আব্দুল জলিল জানান, ৩১ মে রাতে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা নগরীর ফকিরবাড়ি রোডে জাপার কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। ঘটনার পর তারা থানায় মামলা দিতে গেলে পুলিশ তা গ্রহণ করেনি। পরে আদালতে অভিযোগ জানানো হয়। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী অভিযোগপত্র থানায় পাঠানো হয়েছে। ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) ডলি আদালতের আদেশ গ্রহণ করেছেন।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, “জাপার মামলা-সংক্রান্ত আদালতের কোনো কাগজপত্র এখনো হাতে পাইনি। তবে ডিউটি অফিসার যদি গ্রহণ করে থাকেন, তা হলে যথাসময়ে আমরা তা হাতে পাব।”
গণঅধিকার পরিষদ বরিশাল মহানগরের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন বলেন, “জাপার অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় আদালতে মামলা করার বিষয়টি আমাদের জানা নেই। তবে এমন কিছু হয়ে থাকলে আইনগতভাবেই তা মোকাবিলা করা হবে।”
গত ৩১ মে বিকালে বরিশাল নগরীতে জাপার একটি মিছিলে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের হামলার অভিযোগ ওঠে। এ সময় জাপার পক্ষ থেকে পাল্টা প্রতিরোধে গণঅধিকারের কর্মীদের মারধর করা হয়। এরপর রাত ৯টার দিকে গণঅধিকার পরিষদ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা জোটবদ্ধ হয়ে জাপা কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ রয়েছে। ওই ঘটনার জবাবে গণঅধিকার পরিষদের এক নেতা জাপা চেয়ারম্যান ও মহাসচিবসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলাও করেন।